যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ বছর বয়সী যুবতী নিক্কি রেটেল। তার নগ্ন ছবিতে সয়লাব ইন্টারনেট। তারই এক প্রেমিক তার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে এসব ছবি ধারণ করে তা ছড়িয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে প্রথমদিকে খুব বেশি বিব্রত ছিলেন নিক্কি। পরে আস্তে আস্তে তা মানিয়ে নিয়েছেন। তিনি সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, ইন্টারনেটে সব সাইটেই আপনি পাবেন আমার নগ্ন ছবি। যাকে ভালবেসে তিনি তার কাছে দেহ উজার করে দিয়েছিলেন সেই বয়ফ্রেন্ডই তার সঙ্গে করেছে প্রতারণা। এটাকে বলা হয় ইন্টারনেটে যৌন হয়রানি। মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলেছেন, নিক্কির মত ছাড়াই পর্নোগ্রাফি। যে প্রেমিক তার সঙ্গে এমনটা করেছে তাকে তিনি কৌতুক করে ‘মিস্টার ওয়ান্ডারফুল’ বলে অভিহিত করেছেন। একদিন নিক্কি লক্ষ্য করেন তার প্রেমিকের রুমে কলম রাখার একটি জার থেকে তার দিকে এলইডি লাইট বেরিয়ে আসছে। এটা দেখে তার সন্দেহ হয়। নিক্কি বলেন, আমার ভিতর কৌতুহল জাগে এ বিষয়টিতে। আমি কাছে গিয়ে কলমের মতো একটি ডিভাইস উদ্ধার করি। সেটা খুলে যা দেখলাম তাতে সারা দুনিয়া ঘুরে গেল আমার মাথায়। তার ভিতর পেলাম একটি মেমরি কার্ড। তাতে আমার অসংখ্য ছবি। যখন আমি টেলিভিশন দেখি সে সময় থেকে আমার কাপড় পাল্টানোর দৃশ্য পর্যন্ত সব আছে তাতে। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম কলম রাখার ওই হোল্ডারটির মাঝে রয়েছে অনেকগুলো একই রকম ক্যামেরা। এগুলো দিয়ে আমাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করতে পারি নি যে, এমন কাজ তার মতো একজন মানুষ করতে পারে। এসব ছবি পরে পর্নো সাইটগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয়। শুধু তা-ই নয়। এই সঙ্গে আমার নগ্ন ছবিগুলোর সঙ্গে আমার পুরো নাম, জন্মদিন, মোবাইল ফোন নম্বর ও ঠিকানা প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এখন কাজ করছেন সান দিয়েগো ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি। এমন ঘটনা আরো ঘটছে। শিকাগোতে ‘জেন’ নামে এক নারী তার আতঙ্কের কথা তুলে ধরলেন। বললেন, তার হানিমুনের সময়কার ছবি ও ভিডিও গোপনে ধারণ করেছে তার স্¦ামী। তারপর তা পোস্ট করা হয়েছে অনলাইনে। তিনি বলেন, এর মধ্যে একটি ভিডিও-ই দেখা হয়েছে ১০ লাখের বেশি সময়। তিনি বলেন, যখন ্আমার সঙ্গে এমনটা ঘটল তখন এটাকে ধর্ষণ ছাড়া আর কি বলব। আপনি ধর্ষিত হচ্ছেন আর তা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ উপভোগ করছে। এ কি লজ্জার।