ধনী হতে চাইলে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন

0

bilgetsজীবনে আরো একটু সামর্থ্যবান ও সাবলম্বী হয়ে ওঠার আকাঙ্খা সব মানুষের। নিজ অবস্থান ও পরিস্থিতি বিবেচনায় ধনবান হতে চায় সবাই। কিন্তু চাইলেই তোহয় না! চাওয়ার সঙ্গে থাকা চাই চেষ্টা, নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়। নিয়মিত কয়েকটি অভ্যাস যদি যুক্ত করা যায় তাহলে আপনার ধনী হওয়া ঠেকায় কে!

এগিয়ে যান প্রতিদিন

সাফল্য অর্জনে বিকল্প নেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার। সাফল্যের শিখড়ে পৌঁছানোর নেই সংক্ষিপ্ত পথ- তবু ধীর পায়ে এগোনোই বুদ্ধিমানের কাজ। চূড়ান্ত লক্ষ্যটিকে ভাগ করে নিন দিন হিসেবে। প্রতিদিন চেষ্টা করুন অন্তত একটি লক্ষ্য পূরণের। দিন শেষে সাফল্য-ব্যর্থতার হিসেব কষে ঠিক করুন পরবর্তী দিনের পরিকল্পনা। এ পদ্ধতিতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চাপ কমবে, বাড়বে সাফল্যের সম্ভাবনা।

বলুন কম, শুনুন বেশি!

শুনতে নয়, বলতে ব্যাকুল সবাই। এমন প্রবণতা পরিহার করুন। অন্যরা কী বলছে, বলতে চাইছে তা শুনুন। কান পেতে নয়, মন দিয়ে! জানতে চেষ্টা করুন, অন্যদের ভাবনা, প্রত্যাশাগুলো। পরিকল্পনা বাঁধতে সুবিধা হয় তাতে। ধরুন, একটি ব্যবসা শুরু করলেন। ব্যবসায় উন্নতির জন্য আপনাকে অবগত হতে হবে কাঙ্খিত ভোক্তার চাহিদা, প্রত্যাশা সম্পর্কে। নইলে ব্যবসায়িক কৌশল নির্ধারণে ব্যর্থতা হবে সঙ্গী আপনার। তাই অন্যের মত শুনতে এবং জানতে উদ্যোগী হোন।

স্বাস্থ্যের যত্ন নিন

সাফল্যের মূল উপাদান পরিশ্রম। পরিশ্রম করতে শরীরিক সামর্থ্য ও সুস্থতা অত্যাবশ্যকীয়। সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, গ্রহণ করুন স্বাস্থ্যকর খাবার। দৈনিক শরীরচর্চার অভ্যাস আপনাকে করে তুলবে নিয়মানুবর্তি। শারীরিক সুস্থতা আপনাকে প্রফুল্ল করবে। প্রত্যয় জোগাবে সাবলীলভাবে কঠোর পরিশ্রম করতে।

রক্ষা করুন যোগাযোগ

কে কবে কী করেছে একা! সাফল্যের প্রতিটি গল্পে পার্শ্ব চরিত্রে যারা থাকেন তাদের অবদানও কম নয়। লক্ষ্যপূরণের পথে পাশে রাখুন বন্ধু ও শুভানুধ্যায়ীদের। নিয়মিত পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। গুরত্বপূর্ণ কিন্তু অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে পরিচিত হোন। তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে সাধ্যমতো সহায়তার চেষ্টা করুন। ভবিষ্যতে আপনার প্রয়োজনেও পাশে পাবেন তাদের।

পড়তে হবে প্রতিদিন

কেবল ছাত্রজীবনে নয়, পড়াশোনার অভ্যাস থাকা জরুরী জীবনের পুরোটা সময় জুড়ে। ব্যবসায়ী হোন বা চাকরিজীবী- দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা সময় আলাদা করুন পড়াশোনার জন্য। পড়ার বিষয় হতে পারে আপনার কর্মসংশ্লিষ্ট কিংবা দেশ-বিদেশের সংবাদ। ঘটনাপ্রবাহ ও বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান যদি থাকে নখদর্পনে- কাজ করতে এবং সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।

বাড়িয়ে তুলুন দক্ষতা

প্রতি মুহূর্তে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী, প্রযুক্তি এবং মানুষ। বাড়ছে প্রতিযোগিতা। পাল্লা দিয়ে এগোতে না পারলে সাফল্য রয়ে যাবে অধরা। ব্যবসায় বা চাকরিতে উন্নতির জন্য উন্নত হতে হবে আপনাকেও। এজন্য বাড়াতে হবে দক্ষতা। স্বপ্ন এবং লক্ষ্য অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ করে তোলার আগ্রহ জাগ্রত রাখুন হৃদয়ে।

চিন্তা করুন ইতিবাচক

চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক হলে শুধু কাজকর্মে নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিরাজ করবে শান্তিময়তা। মসৃণ হবে আপনার সাফল্যের পথ। নেতিবাচক ভাবনা ও হীনমন্যতাকে ঝেড়ে ফেলার অভ্যাস করুন। তাহলে যেকোন পরিস্থিতি ও প্রয়োজন সামাল দেয়ার এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার আত্মবিশ্বাস অর্জন করবেন।

সঞ্চয়ী হোন

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থব্যয়ে কৌশলীদের সফল ও ধনী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আয় বুঝে ব্যয়ের সঙ্গতি তো থাকতেই হবে, থাকা চাই চাই সঞ্চয়ী মনোভাবও। হিসেব কষে অকারণ ব্যয়ের খাত কমিয়ে সঞ্চয় বাড়াতে পারলে দিন শেষে আপনারই লাভ। হঠাৎ প্রয়োজনে কাজে লাগবে সঞ্চিত অর্থ। তাছাড়া হাতে কিছু অর্থ জমা থাকলে ঝুঁকি নেয়ার সাহসও বাড়ে।

সমমনাদের সঙ্গে থাকুন

আদর্শ বা চেতনাগত অবস্থান থেকে যাদের সঙ্গে নিজের ভাবনার মিল খুঁজে পান, সময় কাটান তাদের সঙ্গে। এতে ভাবনা বিনিময়ে স্বস্তি তো পাবেনই, সঙ্গে সাফল্যের পথ পাড়ি দেয়ার বিভিন্ন কৌশল, কায়দা এবং গ্রহণযোগ্য পরামর্শও পাবেন সহজে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More