পেটের মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তা? সেটা আজকাল কমবেশি সবারই আছে। আর পেটের মেদ এমন একটা বস্তু যে প্রত্যেক ইঞ্চি ইঞ্চিও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যায়াম করে, নানা রকম ওষুধ খেয়েও ফল পাচ্ছেন না? ওজন তো কমছে, কিন্তু পেটের মেদ কমছে না? তাহলে আজ থেকে বদলে ফেলুন আপনার নিজেরই কিছু বদ অভ্যাস। এই অভ্যাসগুলো পেটের মেদ বৃদ্ধি, তথা ভুঁড়ি হবার মূল কারণ। দূর করুন এই অভ্যাসগুলো, মাত্র ৭ দিনেই ফল পাবেন। দেখবেন সুন্দর মত কমতে শুরু করেছে আপনার ভুঁড়ি।
দ্রুত খাওয়ার অভ্যাসটা ছাড়তে হবে
তাড়াতাড়ি খেলে কী হয়? খাওয়া বেশি হয়ে যায়। আপনি যেটুকুই খান না কেন, মূলত খেতে শুরু করার ১৫/২০ মিনিট পর মস্তিষ্ক সিগনাল দেয় ভরপেট খাওয়া হয়েছে। তাই দ্রুত খেলে পেট ভরলেও মন ভরে না, ফলে অনেক খাওয়া হয়। আর বলাই বাহুল্য যে এই বাড়তি খাওয়া একসাথে হজম হতে পারে না, সোজা গিয়ে জমে মেদ হিসাবে। আস্তে আস্তে সময় নিয়ে চিবিয়ে খান।
চা-কফিতে পরিবর্তন
দুধ ও চিনি ছাড়া চা-কফি পান করুন। সবচাইতে ভালো হয় এসব বাদ দিয়ে গ্রিন টি পান করলে। গ্রিন টি ওজন কমাতে ও হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সহায়ক।
ঘুমের আগে খাওয়া খাওয়ার
পরপরই ঘুমিয়ে যান? এই অভ্যাস আজ থেকে একদম বাতিল। খাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টার আগে মোটেও ঘুমাতে যাবেন না।
সাদা তিনটি খাবার একদম বাদ
সাদা চাল, সাদা আটা/ময়দা ও সাদা চিনি- এই তিনটি খাবার একদম বাদ দিয়ে দিন। বদলে খান লাল চা, লাল আটা। চিনির বদলে খান সুগার ফ্রি।
কোমল পানীয় একদম বাদ
যত ধরণের কোমল পানীয় ও শরবত আপনার প্রিয়, সেই সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে দিন। বদলে পান করুন তাজা ফলের রস। তবে কেনা নয়, ঘরে তৈরি।
প্যাকেটজাত সবকিছু থেকে দূরে থাকুন
প্যাকেটে ভরা বিস্কুট হোক বা চিপস, বাদাম হোক বা জুস ইত্যাদি সব কিছুই আজ থেকে বাদ দিয়ে দিন খাদ্য তালিকা থেকে। খিদে পেলেই একটা প্যাকেট খুলে বসবেন না।
একটা প্রিয় অনুষ্ঠান বাদ দিন
হ্যাঁ, একদম ঠিক বলছি। সময় নেই ব্যায়াম করার? একটা টিভি অনুষ্ঠান দেখা বাদ দিয়ে সেই সময়টা হাঁটুন আর গান শুনুন। ভুঁড়ি না কমে যাবে কই?