সীমান্ত বিল অনুমোদন করা হলো ভারতের মন্ত্রিসভায়

0

cabinet-meet2_650_052714073218আর্ন্তজাতিক ডেস্ক : বহুল আলোচিত সীমান্ত বিল অপরিবর্তিতভাবে অনুমোদন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিলটি কাল বুধবার রাজ্যসভায় পাস করিয়ে পরদিন বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাস করানোর কথা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ভারতের মন্ত্রিসভা বিলটি অনুমোদন দেয়।

এর আগে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের চাপে গতকাল সোমবার রাতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি বিলটি অপরিবর্তিতভাবে পাস করানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

গতকাল রাতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বাসভবনে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে সীমান্ত বিল অপরিবর্তিতভাবে পাস করানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে আসাম বিজেপির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যসহ দলের সব সাংসদকে ডাকা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর কাল বুধবার সীমান্ত বিলটি অপরিবর্তিতভাবে রাজ্যসভায় এবং পরদিন বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাস হতে পারে।

বিলটি নিয়ে তাড়াহুড়োর একমাত্র কারণ লোকসভার অধিবেশন ৮ মে শেষ হয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যেই এই ১১৯ তম সংবিধান সংশোধন বিলটি পাস না হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে যাবে। মোদি জুন মাসে ঢাকা আসতে আগ্রহী।

গত রাতে অমিত শাহর অশোকা রোডের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আসাম বিজেপির সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যকেও জরুরি তলব জানিয়ে ওই বৈঠকে আনা হয়েছিল।

বৈঠকে আসাম থেকে নির্বাচিত দলের সব সাংসদের সামনে সীমান্ত বিলের যাবতীয় খুঁটিনাটি, কংগ্রেসের আপত্তি, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের চিঠি এবং কংগ্রেসের অনমনীয় ভূমিকার কথাও সেখানে ব্যাখ্যা করা হয়। বলা হয়, এই আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪২ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। আর বিলম্ব সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দেশের মর্যাদা জড়িত।
আসামকে বাদ দিলে দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কা

ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, বিলটি ঠিক যেভাবে রাজ্যসভায় রয়েছে, সেভাবেই পাস করানো হবে। আসামের ওপর এর যে প্রভাব পড়বে, তা বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে।

বৈঠকের পর বিজেপির লোকসভা সদস্য রমেন ডেকা বলেন, ‘দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। আমরা রাজ্যের মানুষদের বলব, কংগ্রেসের কারণেই এই বিল আমরা যেভাবে আনতে চেয়েছিলাম, তা পারলাম না। কংগ্রেসের মোকাবিলা আমরা রাজনৈতিকভাবেই করব।’

বিজেপির আসাম রাজ্য সভাপতি সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশের জন্য কী প্রয়োজন, তা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম আসামকে আপাতত বাইরে রেখে বিল পাস করাতে, কিন্তু কখনো চাইনি বিলটি রাজ্যসভায় ব্যর্থ হোক। তাই অখণ্ড বিলই আনার সিদ্ধান্ত। বিজেপি যে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়, এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More