ঢাকা: প্রথম ওভারেই চোটে পড়ে গেলেন শাহাদাত হোসেন রাজীব। বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদই বটে। কিন্তু সুসংবাদ আনতে খুব বেশি দেরি করেননি বাংলাদেশের বোলাররা। খুলনা টেস্টে অভিষিক্ত পেসার মোহ্ম্মাদ শহিদই ঢাকা টেস্টে এসে শুরুতেই আঘাত হানলেন পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপের ওপর।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলেই শহিদের হালকা বাউন্স আর ইনসুইংয়ের কাছেই পরাস্ত হতে হলো মোহাম্মদ হাফিজকে। পাকিস্তানি ওপেনারের গ্লাভস ছুঁয়ে দিয়ে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে জমা পড়ে ক্যাচটি। সঙ্গে সঙ্গেই আঙ্গুল তুলে দেন আম্পায়ার পল রেইফল। হাফিজ তখন ১৬ বলে ৮ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।
মিরপুরের উইকেটে কেন টস জিতে বোলিং নিলেন মুশফিকুর রহিম, সেটা ভালোকরেই বুঝিয়ে দিলেন মোহাম্মদ শহিদ এবং সৌম্য সরকার। অসাধারণ বাউন্স আর সুইং পাচ্ছিলেন দুই বোলার। অসাধারণ এক সুইংয়ে আজহার আলিকে পরাস্ত করেছিলেন মোহাম্মদ শহিদ।
ব্যাটের কানায় লাগিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন আজহার। সৌম্য সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি ধরেছিলেনও। কিন্তু নো বল চেক করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। শহিদের পা ক্রিজ ছাড়িয়ে যায়। অথ্যাৎ নো বল। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। বেঁচে গেলেন আজহার। তখন ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন তিনি।
২৩তম ওভারের পঞ্চম বলে এসে তাইজুলের একটি বল ডিপ মিডউইকেটে তুলে খেলেন পাকিস্তানি ওপেনার সামি আসলাম। সেখানে দাঁড়ানো ছিলেন শাহাদাত হোসেন রাজিব। বলটি লুপে নিতে কোনই কষ্ট করতে হয়নি তাকে। ৫৮ রানে পড়ল পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেট।
এরপর লাঞ্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের আর কোন উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। আজহার আলি এবং উইনিস খান স্বচ্ছন্দে ব্যাট করে যাচ্ছেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় পাকিস্তানের রান ২৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭০। উইকেটে আজহার আলি ৩৬ এবং ইউনিস খান রয়েছেন ১ রানে।