ঢাকা: আজহার আলী, ইউনিস খান ও আসাদ শফিক মিলে ঢাকা টেস্টের প্রায় ৫ সেশন বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করে পাকিস্তানকে রানের পাহাড়ে তুলে দেন। আজহারের ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি ইউনিস খান ও আসাদ শফিকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে স্কোরবোর্ডে ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান তোলে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা।
পাকিস্তানের হয়ে আজহার আলী সর্বোচ্চ ২২৬ রান করেন। তার ৪২৮ বলের ইনিংসটি ২০টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ছিল। এছাড়া ইউনিস খান ১৯৫ বলে ১৪৮ ও আসাদ শফিক ১৬৭ বলে ১০৭ রান করেন। হাফিজ (৮), অধিনায়ক মিসবাহ (৯) ও সামি আসলাম (১৯) ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও তা দলের ওপর প্রভাব ফেলেনি।
তৃতীয় উইকেটে আজহার আলী ও ইউনিস খানের মধ্যকার ২৫০ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পায় পাকিস্তান। এরপর পঞ্চম উইকেটে আসাদ শফিককে নিয়ে ২০৭ রানের জুটি গড়ে দলকে রানের পাহাড়ে নিয়ে যান ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা আজহার আলী।
বৃহস্পতিবার ৩ উইকেটে ৩২৩ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হককে সাজঘরে ফিরিয়ে শুভ সূচনা করেন সাকিব আল হাসান। আগের দিনের ৯ রান নিয়ে খেলা শুরু করা অতিথি দলের দলপতি দ্বিতীয় দিন আর কোনো রান সংগ্রহ করতে পারেননি। দলীয় রান তখন ৩২৩।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বল সরাসরি মিসবাহ’র উইকেটে আঘাত হানে। এসময় আজহার আলী ১২৭ রানে ব্যাট করছিলেন। মিসবাহ আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন আসাদ সফিক।
মিসবাহকে ফেরালেও রীতিমতো ওয়ানডে স্টাইলে খেলেনআসাদ সফিক এবং আজহার আলি। ৭৯ বলে ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শফিক। এরপর ধীরে ধীরে ক্যরিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যান আজহার আলি। সাকিব আল হাসানকে ছক্কা মেরে ম্যাজিক্যাল ডাবল সেঞ্চুরির ফিগার স্পর্শ করে ফেলেন তিনি।
৪০৬ বল খেলে ১৯টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায় ডাবল পূর্ণ করেন তিনি। এরপর ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন আসাদ শফিকও। ১৪৯ বলে তিন অংকের ঘর স্পর্শ করেন তিনি। এরপরই শুভাগত হোমের আঘাত। আউট হলেন আজহার আলি।
পরের ওভারে আবারও শুভাগতর আঘাত। এবার ফেরালেন আরেক ইনফর্ম আসাদ সফিককে। ১৬৭ বল খেলে ১০৭ রানে আউট হলেন পাকিস্তানের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
শুভাগত হোমের দেখানো পথে হাঁটছেন তাইজুল ইসলামও। একই ওভারে ওয়াহাব রিয়াজ এবং ইয়াসির শাহকে ফেরালেন তাইজুল ইসলাম। ৫৩০ থেকে ৫৫৭- এই ২৭ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। শুভাগত এবং তাইজুল- দু’জনই ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ইয়াসির শাহ আউট হওয়ার পর ৮ উইকেটে ৫৫৭ রান নিয়ে চা বিরতিতে যাওয়া পাকিস্তান আর ব্যাটিংয়ে না নেমে ইনিংস ঘোষণা করে।
বাংলাদেশের হয়ে তাইজুল ইসলাম ৩টি এবং শুভাগত ও মোহাম্মদ শহীদ ২টি করে উইকেট লাভ করেন। একটি উইকেট নেন সাকিব।
প্রসঙ্গত, দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ড্র হয়। এর আগে ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। একমাত্র টি-২০ তেও সফরকারীদের উড়িয়ে দেয় টাইগাররা।