ঢাকা: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর দাবি করেছেন, গত নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা বেশি।
রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন দাবি করেন। আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল তার নেতৃত্বে সিইসির সঙ্গে এ বৈঠকে বসে।
তবে তার এমন দাবি ভুলবশত হয়েছে বলে জানান এ প্রতিনিধিদলের সদস্য রিয়াজুল করিম কাউসার। তিনি বলেন, ‘তার বয়স হয়েছো তো, তাই তিনি ভুলে গত নির্বাচনের চেয়ে এবারে প্রার্থী বেশি এমন কথা বলে ফেলেছেন।’
মহীউদ্দীন খান বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। কোনো একটি দল যদি নির্বাচনে না আসে, তাহলে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কোনো কারণই নেই। তারা আবার এমন দল, সংসদে যাদের ১০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব নেই। সুতরাং নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে ন।’
সিইসির সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কমিশনকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমাদের সবধরনের সহায়তা থাকবে। আমাদের দলের কোনো প্রার্থীকে সতর্ক করতে চাইলে তারা সরাসরি সে প্রার্থীর সঙ্গে কথাও বলতে পারেন।’
সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা ইচ্ছা করলে যে কোনো বাহিনীর সহায়তা নিতে পারে। সেনা মোতায়েন আমাদের কাজ না।’
সিইসির সঙ্গে এ বৈঠক আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, তানভীর ইমাম, রিয়াজুল করিম কাউসার, কেয়া চেীধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশ নেয়। তখন ৩০০ আসনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৫৬৭ জন। আর ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। আর ৩০০ আসনের বিপরীতে প্রার্থী ৫৪০ জন। যেখানে ১৫৪টি আসনে এককপ্রার্থী অর্থাৎ তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।