উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভিন্ন কৌশলে নকল চলছে। মোবাইলে প্রশ্নের স্ন্যাপশট বা ছবি পরীক্ষা শুরুর আগেই ছড়িয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্টসংখ্যক পরীক্ষার্থীর হাতে। তারপর উত্তরপত্র তৈরি করে নিয়েই ঢুকছে তারা পরীক্ষার হলে।
এক ছাত্রীর অভিভাবক চ্যানেল আই অনলাইন ডট কমকে জানান, সকাল নয়টার মধ্যেই অনেক ছাত্রীর মোবাইলে পৌঁছে যায় এমসিকিউ প্রশ্নপত্র। তারপর অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং বহিরাগত অনেককেই জোট বেঁধে উত্তরপত্র তৈরি করতে ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রী জানান, প্রত্যেক পরীক্ষার দিনই পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ঘন্টাখানেক আগে মোবাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এই হট্টগোল দেখা যায়। আগেই প্রশ্নপত্র পাওয়ার বিষয়টি কোনো কোনো পরীক্ষার্থী গর্বের বা অহংকারের সঙ্গে উল্লেখ করছেন। এতে হতাশ হতে হচ্ছে তাদেরকে যারা আগাম প্রশ্নপত্র পাবার আশা করে না।
ওই ছাত্রী আরো জানান, প্রথম পরীক্ষার দিন থেকেই ঘটছে মোবাইলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের একই ঘটনা। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে প্রশ্নপত্র সরবরাহকারী, নিরাপত্তাকর্মী অথবা শিক্ষক এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। সরকারের উচিৎ এ ব্যাপারে তদন্তসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।