গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা। শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দের খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের এ কথা বলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনি আরও বলেন, কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল। ছাত্রলীগ দেশের সব আন্দোলনেই ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের সঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের আর কোন স¤পৃক্ততা নেই বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ পর্দার অন্তরালে বিভিন্ন স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন থেকে টাকা নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। এই কারণেই তারা আজ জনগণের মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন। গণজাগরণ মঞ্চ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। মঞ্চের মুখপাত্র ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলতে মিশনে নেমেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। কারণ মিডিয়া কাভারেজ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে মঞ্চের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন সম্পর্ক নেই। তাদের সঙ্গে বিরোধ থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে মঞ্চের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ আসমান ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক নাসিম আল মোমিন রুপনকে ঘিরে মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার মিথ্যা ও সম্পূর্ণ অসত্য বক্তব্য দিচ্ছেন। চারুকলার সামনে গণজাগরণ মঞ্চ নববর্ষ উপলক্ষে মঞ্চ স্থাপন করতে চাইলে শেখ আসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েছেন কি না তা জানতে চেয়েছিলেন। এ জন্যই মঞ্চের মুখপাত্র ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ মঞ্চের নেতার্মীদের ওপর হামলা করেছে এই ধরনের বক্তব্যে প্রত্যাহার করতে হবে। জাতির কাছে এই মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য মঞ্চের ক্ষমা চাইতে হবে। যদি মঞ্চ প্রমাণ করতে পারে ছাত্রলীগ হামলার করেছে-তাহলে ছাত্রলীগ জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে।