সিলেট: ছাত্রদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেন দে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে সিলেট মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. সাহেদুল করিমের খাস কামরায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন। এছাড়া তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের নামও উল্লেখ করেছেন।
১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহন করার পর আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বাংলামেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে সৌমেন দেকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়নি জানিয়ে এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। তবে প্রয়োজনে পরবর্তীতে রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘সৌমেন দে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের নাম বলেছে।’
এদের মধ্যে সৌমেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাই, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশফেকুজ্জামান আকন্দ রাফি, হাফিজুর রহমান, ফারহান আনজুম পাঠান, অন্তর দ্বীপ, শরিফুল ইসলাম, জহুর রায়হান রিপন, আবু সাহাল ফাহিম, জুবায়ের ইবনে খায়েজসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪র্থ বর্ষের ছাত্র এবং কলেজ ছাত্রদলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলামকে কতিপয় দুর্বৃত্তরা ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবু সিনা ছাত্রাবাসের ১০০৩ নং কক্ষে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।
পরবর্তীতে ওসমানী হাসপাতালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিএনপি ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কলেজ ছাত্রলীগকে দায়ী করা হয়। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের ২০ নেতা-কর্মীর নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সৌমেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়া ১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকেও ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।