বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত মতে , স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীতে তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া এবং চট্টগ্রামে পৃথকভাবে ৩০ হাজার লোকের মেজবানের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে টুঙ্গিপাড়ায় ১০ হাজার এবং চট্টগ্রামে ২০ হাজার দরিদ্র মানুষকে আপ্যায়ন করা হবে।
এতে সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এবার বড় আকারে শোক দিবস পালন করা হবে। টুঙ্গিপাড়ায় এবং চট্টগ্রামে পৃথক দু’টি মেজবান হবে। টুঙ্গিপাড়ায় হবে বঙ্গবন্ধুর সমাধি প্রাঙ্গনে আর চট্টগ্রামে হবে রীমা কনভেনশন সেন্টারে। টুঙ্গিপাড়ায় সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং চট্টগ্রামে সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দেবেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ আগস্ট সকালে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। দুপুরে মেজবানে এলাকার গরীব জনসাধারণকে আপ্যায়ন করা হবে। ১০ হাজার মানুষের জন্য পাঁচটি গরু এবং এক’শ মুরগি জবাই করা হবে।
আর চট্টগ্রামে ১৫ আগস্ট সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দেবেন আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হবে। দুপুরে রীমা কনভেনশন সেন্টারে মেজবান হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে দরিদ্র লোকজনকে নিয়ে আসার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টুঙ্গিপাড়ায় মেজবানের জন্য মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাকি খরচ বহন করবেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে ৮ আগস্ট মহিউদ্দিন ও নাছিরের উপস্থিতিতে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে মিলাদ মাহফিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় যেসব ওয়ার্ডে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি তাদের দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।