ঢাকা: ২০১৩ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় দলের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাংসদ শ্রী পঙ্কজ দেবনাথ ও কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজুল কবীর কায়সার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান ও যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলির কাছে এ হিসাব জমা দেন।
জমা দেয়া হিসাব অনুযায়ী ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের মোট আয় হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
হিসাব জমা দিয়ে বেরিয়ে মৃণাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৩ সালে আমাদের মোট আয় হয়েছে ১২কোটি ৪০ লাখের মতো। মোট ব্যয় হয়েছে ৬ কোট ৭০ লাখের মতো।’
আয়ের উৎস হিসেবে মৃণাল কান্তি মনোনয়ন ফরম বিক্রির কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সদস্য, নির্বাহী সংসদ, জাতীয় কমিটি, উপদেষ্টা কমিটি ও সংসদ সদস্যদের চাঁদা, মঞ্জুরি ফি, ও দলীয় সাময়িকি বিক্রি, পুরাতন কাগজ বিক্রি, নেতাকর্মীদের অনুদান প্রভৃতি থেকেই আওয়ামী লীগের এই আয় বলে জানান মৃণাল কান্তি।
দলটির ব্যয়ের প্রধান প্রধান খাতগুলো হলো- কর্মচারীদের বেতন, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-টেলিফোন বিল, ত্রাণ কার্যক্রম, দলীয় প্রচার-প্রচারণা, পোস্টার, ব্যানার মাইকিং, জনসভা, নির্বাচনী ব্যয় ইতাদি।
মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা ২৬টি দলের এবং সময় বাড়ানোর পর আওয়ামী লীগসহ নয়টি দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব পেয়েছি। চারটি দল এখনও কমিশনে কোনো হিসাব জমা দেয়নি।’
এছাড়া গণফ্রন্ট এখনও তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমাও দেয়নি বা জমা দেয়ার জন্য সময়ও চায়নি বলে জানান মোখলেসুর।
রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রতিবছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ১৫টি দল নির্ধারিত ওই সময়ে হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হয়। এই ১৫টি দলের মধ্যে থেকে ১২টি দল হিসাব জমা দেয়ার জন্য সময় চায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগসহ ১৫টি রাজনৈতিক দলকে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার জন্য ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় দেয় নির্বাচন কমিশন।
বর্ধিত এ সময়ের শেষ দিনে এসে আজ আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিল আওয়ামী লীগ।
এরআগে গত ২৬ আগস্ট কমিশনে নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় জাতীয় পার্টি (জাপা)।
হিসাব অনুযায়ী গত বছর দলটির আয় হয়েছে তিন কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ৪২৯ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ৮২ লাখ ২১ হাজার ৫২৯ টাকা।
তার আগে ১৪ আগস্ট হিসাব জমা দেয় বিএনপি। বিএনপির দেয়া হিসাবে দেখা যায়, গেল বছরে তাদের আয় ছিল ৭৬ লাখ পাঁচ হাজার ৭৬২ টাকা ও ব্যয় দুই কোটি ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩২৬ টাকা।