হেফাজত ইসলামকে কঠোর হস্তে দমন করার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীতে হেফাজত ইসলামের সমাবেশ যে কোনোভাবে প্রতিহত করাও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, “হেফাজত নৈরাজ্য করতে চাইলে তাদের প্রতিহত করা হবে।” মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, “হেফাজত বিষাক্ত সাপ। তাদের লাঠি দিয়ে নিধন করতে হবে।” আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মো. নাসিম বলেছেন, “রাজধানীতে হেফাজত ইসলামের আদলে জামায়াত-শিবির সমাবেশ করলে, কিংবা সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে ১৪ দল তা কঠোরভাবে দমন করবে।”
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে দলের এক বর্ধিত সভায় নেতারা এ কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া এর সভাপতিত্ব করেন।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যদি তারা মাঠে নামার চেষ্টা করেন, তারা নৈরাজ্য করতে চায় তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবো।”
তিনি আরো বলেন, “খালেদা জিয়া আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমরা অতীতেও তার আল্টিমেটাম দেখেছি। মঙ্গলবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে করবেন। আর ২৪ তারিখে হেফাজত সমাবেশ করবে। এটা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে মনে হলেও এটা পূর্ব পরিকল্পিত। এগুলো একই সূত্রে গাথা।”
জামায়াত-শিবির ও খালেদা জিয়া হেফাজতকে মাঠে নামিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় বলে অভিযোগ করেন আইনমন্ত্রী।
কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব প্রসঙ্গে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। একটি দেশের সবোর্চ্চ আদাতের বিরুদ্ধে কোনো দেশ, কোনো দেশের পার্লামেন্ট বা কোনো ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলতে পারে না।”
তিনি আরো বলেন, “তারা (পাকিস্তান) একটি বর্বর জাতি। তারা আইনের শাসন মানে না। কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানে না। তাই এ ধরনের প্রস্তাত দিয়েছে।”
বিরোধী দলীয় নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই ঘটনার পরে দেশের সকল মানুষ পাকিস্তানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া-জামায়াতে ইসলাম কোনো কথা বলছে না। তারা রাজনীতি করেন পাকিস্তানের টাকায়। তাই তারা এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “কাল (মঙ্গলবার) বিষাক্ত সাপ ঢাকায় আসছে। তাদের লাঠি দিয়ে নিধন করতে হবে। তারা ইসলামের শত্রু, দেশের শত্রু। এদেশে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।”
অনুষ্ঠানে নাসিম বলেছেন, “রাজধানীতে হেফাজত ইসলামের আদলে জামায়াত-শিবির সমাবেশ করলে, কিংবা সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে ১৪ দল তা কঠোরভাবে দমন করবে।”
তিনি আরো বলেন, “জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকে আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এই বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”