ঢাকা: ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, “কাল হেফাজত নামের বিষাক্ত সাপ ঢাকায় আসছে। তাদের লাঠি দিয়ে নিধন করতে হবে। তারা ইসলামের শত্রু, দেশের শত্রু। এদেশে তাদের বাঁচা ও থাকার অধিকার নেই।”
তিনি বলেন, “কোনো শত্রু ও শয়তানকে ছোট করে দেখতে নেই। কারণ শয়তান কখন কাধে চড়ে বসে আর শত্রু কখন ক্ষতি করে বসে বলা যায় না।”
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্থিত সভায় মায়া এসব কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলামের কর্সসূচি প্রসঙ্গে আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের সজাগ থাকতে হবে। যদি তারা মাঠে নামার চেষ্টা করেন। যদি তারা নৈরাজ্য করতে চায় তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের প্রতিহত করবো, প্রতিহত করবো, প্রতিহত করবো।
কামরুল ইসলাম বলেন, “খালেদা জিয়া আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আমরা অতীতেও তার আল্টিমেটাম দেখেছি। মঙ্গলবার তিনি সংবাদ সম্মেলনে করবেন। আর ২৪ তারিখে হেফাজত সমাবেশ করবে। এটা কাকতালীয়ভাবে মিলে গেছে মনে হলেও এটা পূর্বপরিকল্পিত। এগুলো একই সুত্রে গাথা। হেফাজত এলে মাঠে নামার সাহস পাবে না। জামায়াত-শিবর ও খালেদা জিয়া তাদের মাঠে নামিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।”
কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব প্রসঙ্গে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। একটি দেশের সবোর্চ্চ আদাতের বিরুদ্ধে কোনো দেশ, কোনো দেশের পার্লামেন্ট বা কোনো ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলতে পারে না।”
পাকিস্তানকে একটি বর্বর জাতি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা একটি বর্বর জাতি। তারা আইনের শাসন মানে না। কূটনৈতিক শিষ্টাচার মানে না। তাই এ ধরনের প্রস্তাব দিয়েছে।”
বিরোধী দলীয় নেত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই ঘটনার পরে দেশের সব মানুষ পাকিস্তানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু খালেদা জিয়া-জামায়াতে ইসলাম কোনো কথা বলছে না। তারা রাজনীতি করেন পাকিস্তানের টাকায় রাজনীতি করেন। তাই তারা এ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।