ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন। দলের পক্ষ থেকে রোববার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।
এর আগে ২১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোট তা আমলে নেয়নি। ফলশ্রুতিতে চলতে থাকে রাজনৈতিক অস্থিরতা। রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে ব্যবসায়ী এবং কূটনৈতিক মহল দুই জোটের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের নেয়া উদ্যোগও সফল হয়নি।
সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। একাদশ নির্বাচন নিয়ে সমঝোতা হতে পারে। আর বিরোধী দলের কথা, সমঝোতার মাধ্যমে বর্তমান সংবিধানের মধ্যে থেকেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব।
ইতোমধ্যেই সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। যাতে বিরোধী দলের রয়েছে প্রবল সমালোচনা। প্রতিবেশী ভারত ছাড়া অধিকাংশ রাষ্ট্রই এ বিষয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সংগঠন ইইউ ও কমনওয়েলথ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক পর্যবেক্ষণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েই এবারের সংবাদ সম্মেলন করছেন বিরোধী জোট নেত্রী। এ পর্যায়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য শোনার অধীর আগ্রহে সবাই। হরতালের পর পঞ্চম দফা অবরোধ পালন করে কী বলবেন তিনি?
দলের নীতি নির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট আন্দোলনের বিকল্প চিন্তা করছে না। এবারেও খালেদা জিয়া প্রস্তাবমূলক বক্তব্য দেবেন। পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারেন। ভারত সরকারসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনেরও সহায়তা চাইতে পারেন।