বিএনপি খুন, গুম, অপহরণ প্রতিরোধে দলের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ১০টি পরামর্শ দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব পরামর্শ দেন।
পরামর্শ গুলো নিম্নে দেয়া হলো,
১. প্রত্যেকের আওতাধীন এলাকায় লিফলেট, পোস্টার, সভা, মতবিনিময়সহ বিভিন্ন পন্থায় অপহরণ, গুম, হত্যা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন এবং অপরাধের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
২. চলাফেরায় সতর্ক থাকুন। একা চলাচল, নির্জন ও অনিরাপদ স্থানগুলো এড়িয়ে চলুন।
৩. নেতারা কর্মীদের ও কর্মীরা নেতাদের এবং সকলে মিলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখুন।
৪. প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্থানীয় কর্মকর্তাদের ফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা সংগ্রহে রাখুন। কোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুত তাদেরকে জানান।
৫. বিএনপির সদর দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন।
৬. কোথাও অপহরণের উদ্যোগের সংবাদ পেলে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব লোক মিলে দ্রুত সেখানে উপস্থিত হোন এবংমিলিতভাবে প্রতিরোধের চেষ্টা করুন।
৭. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে কাউকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে তাদের পরিচয় সম্পর্কে এবং আটক ব্যক্তিকে কোথাও নেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হোন।
৮. আটক ব্যক্তিকে যেখানে নেওয়া হচ্ছে সেখানে সদলবলে গিয়ে দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলুন।কী অভিযোগে এবং কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানার চেষ্টা করুন।
৯. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভুয়া পরিচয় দিলে তাকে প্রতিরোধ করুন।পুলিশে খবর দিয়ে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দিন।
১০. ভিকটিম পরিবারের পাশে দাঁড়ান।তাদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরুন।গুম, অপহরণ, খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থানীয় ভিত্তিতে গ্রহণ ও পালন করুন।অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনকে এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করুন।
শেষে ভারপ্রাপ্তমহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি নিরাপদ, সভ্য ও গণতান্ত্রিক সমাজ চাই।এজন্য আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার হই।