বার্লিনঃ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনায় কুলখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জার্মানি ও বার্লিন শাখা। গতকাল স্থানীয় সময় বিকাল ৫ টায় স্থানীয় বাংলাদেশী মসজিদ বাইতুল মুকাররামে এই কুলখানি ও দোয়া মাহফিলে অনুষ্ঠিত হয়। বার্লিন বিএনপি সভাপতি গনি সরকারের সভাপতিত্তে এবং জার্মান বিএনপি নেতা নূর চৌধুরী জিয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জার্মান বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়া।
উক্ত কুলখানি ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মোস্তাক খান, জালাল উদ্দিন, কাজী সুরুজ প্রমুখ। দোয়া মাহফিলে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের শারিরিক সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। কুলখানি ও দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দেশ বিরুধি জালেম আওয়ামীলীগ ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। সারা বাংলাদেশকে তারা একটি কারাগারে পরিনত করেছে। আজকে কোথাও মানুষ নিরাপদ নয়। গুলি করে তারা শত শত মায়ের বুক খালি করছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন পুত্র শোকে কাতর ঠিক তখন অন্যায় ভাবে তাঁর নামে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় গভীর রাতে তাঁর কার্যালয়ের বিদ্যুৎ এবং পরে একে একে ডিশ, ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সংযোগ বিছিন্ন করে দেয়। যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। সভ্য দুনিয়ার ইতিহাসে এরকম ঘৃনিত ও জঘন্য নজির কোথাও পাওয়া যাবে না। জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ ও কথা বলার অধিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রীর উপর তারা বিষাক্ত পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। আমরা এইসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তারা আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারকে ধ্বংস করার জন্য অবৈধ এই সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
শত শত আলেম এবং বিরুধি দলের নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে এই খুনি হাছিনা। তারা বলেন, হুমকি ধমকি, হামলা মামলাবা গুম করে আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। খুনি হাছিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত এবং গনত্রন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এবং তারেক রহমানের নির্দেশমতো আন্দোলন চলছে এবং তা অব্যহত রাখতে হবে। বক্তারা আরও বলেন আমরা সরকারকে হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই- অবিলম্বে তত্তাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের সকল নেতা কর্মীদেরকে মুক্তি দিন নয়তবা এর পরিণতি ভালো হবে না। বক্তারা দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাইকে আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালি করার আহবান জানান। সকল ভেদাভেদ ভুলে খুনি হাছিনার পতন আন্দোলনে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভুমিকা রাখার অনুরোধ জানান।