বিচারবহির্ভুত হত্যার স্বীকার বিএনপির নেতাকর্মীদের চূড়ান্ত তালিকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল জেলায় জেলা কমিটির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দলটি। চিঠিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির কেন্দ্রীয় দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ তথ্য জানান।
২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির সর্বশেষ পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করতে যাচ্ছে বিএনপি।
রিজভী আহমেদ জানান, গত কাউন্সিলের পর থেকে এ পর্যন্ত দলের যতো নেতাকর্মী আন্দোলনে নিহত হয়েছেন কিংবা যাদের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, তাদের তালিকা তৈরি করা হবে। ষষ্ঠ কাউন্সিলে এসব নেতাদের নামে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে।
কাউন্সিলের স্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করতে চাই। এ লক্ষ্যে আমরা তিনটি স্থান (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র) চেয়ে চিঠি দিয়েছি। ডিএমপিকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে কোনো স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। সম্প্রতি গণপূর্ত বিভাগ আমাদেরকে বলেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যাপারে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে পুলিশের অনুমতি লাগবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, সহ-শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
Prev Post