ব্লগার হত্যাকাণ্ড সরকারের একটি রাজনৈতিক চাল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী দেশে হিসেবে চিহ্নিত করতে চাচ্ছে। তাই বিভিন্ন সময় ব্লগারদের হত্যা করা হচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই শুক্রবার ব্লগার নীলাদ্রি নিলয়কে হত্যা করা হয়েছে।’
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুব জাগপা আয়োজিত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় যুব সমাজের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘এ সরকার বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে মেতেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার ব্লগার হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে মদদ দিচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ ধরা পড়ে গেছে। তাদের মুখোশ সারাবিশ্বের কাছে উন্মোচন হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ বড় সমস্যা নয়। রাজনৈতিক সমস্যাই হচ্ছে বড় সমস্যা। আর এর সমাধান করতে হবে রাজনৈতিকভাবেই।’ বর্তমান ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচেনের মাধ্যমেই বিরাজমান এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভাব বলেও মন্তব্য করেন প্রবীণ এই আইনজীবী।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মাহাবুব বলেন, ‘দেশে কোনো আন্দোলন নেই এ কথা সত্য নয়। সারাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরেই আন্দোলন গড়ে উঠেছে। যে কোনো সময় এ আন্দোলন গণবিস্ফোরণে পরিণত হবে।’
‘বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই’, ভারত সরকোরের এই বক্তব্য উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আগামী দিনে সরকারবিরোধী আন্দোলনে ভারতের জনগণ বিএনপির পাশে থাকবে। তাই বিএনপিকে ছোট ছোট ভুলগুলো ভুলে গিয়ে রাপজপথে নামতে হবে।’
সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য বিএনপিকে দায়ী করে। কিন্তু আমি সরকারকে বলতে চাই, সংখ্যালঘু নির্যাতনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্ত করুন। তখনই দেখা যাবে কারা এ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আলহাজ্ব মো. ফয়জুড় রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি সফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।