লন্ডন: বিশ্বখ্যাত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে ইংরেজি ভাষায় একটি দীর্ঘ তথ্য-চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে। আশিক ইসলামের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ’এ ম্যান ক্যান চেঞ্জ এ নেশন’( একটি জাতির পরিবর্তন ঘটাতে পারেন এক ব্যক্তি) নামের এই তথ্যচলচ্চিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় বৃটিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা রবার্ট পেরেনো।
এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৭ জন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব তারেক রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকা, বৃটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী, সিনেটর, সংসদ সদস্য, মেয়র, চিফ জাস্টিস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও শিক্ষাবিদরা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাজনীতিবিদকে নিয়ে এত অধিকসংখ্যক বিদেশী একটি তথ্যচিত্রে একত্রিত হয়ে পর্যালোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। ৪০ মিনিট ব্যাপ্তির এই তথ্য-চলচ্চিত্রে তারেক রহমানের জন্ম-শৈশব, শিক্ষা ও রাজনীতি, উন্নয়ন ও তৃণমূল কর্মকাণ্ড, সহনশীলতা, সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতা, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন নিয়ে তার কর্মযজ্ঞ, তার ওপর নির্মমতা-অসুস্থতা ও প্রবাস জীবনের ওপর গঠনমূলক আলোকপাত করা হয়েছে।
এতে কনকোয়েস্ট অফ পেরাডাইসসহ বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ক কিছু সংগীত এবং তারেক রহমানের দুর্লভ সব ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মাতারা আশা করছেন, তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসার প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে এই তথ্যচিত্রটি দলের মধ্যে ব্যাপক জোয়ার সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।
সম্প্রতি এই তথ্য চলচ্চিত্রটি লন্ডনে বিশিষ্টজনদের সামনে প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের অনেকের মতে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন এই সৃজনশীল চলচ্চিত্রটি তারেক রহমানের কাজকে আন্তর্জাতিক স্তরে এবং এদেশের গণমানুষের কাছে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে।
অনুষ্ঠানে আশিক ইসলাম জানান, দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল এই তথ্য চলচ্চিত্রটি। এতে তারেক রহমানকে নতুনভাবে দেখতে পাবেন মানুষ। তিনি কিভাবে একটি জাতিকে বদলে দেয়ার প্রত্যয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন তা একধরনের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়েছে।
আশিক জানান, সম্পূর্ণ আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে এতে। কর্মবীর তারেক রহমানকে নতুন এক দ্যোতনায় আলোকের সামনে উদ্ভাসিত করে তোলা হয়েছে। তথ্যচলচ্চিত্রটির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন মাহদী আমিন। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন সালেহ শিবলী।