দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর আপিলের রায় ঘোষণার দিন ঠিক হওয়ার পর মঙ্গলবার মাসুদ সাঈদী তার ফেসবুক পাতায় এ মন্তব্য করেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মাসুদ সাঈদী তার ফেসবুক পাতায় লিখেন, ‘‘জন্মলগ্ন থেকেই আমার আব্বার নাম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। আল্লামা সাঈদীর পিতার নাম মাওলানা ইউসুফ সাঈদী (র.)। গ্রাম- সাঈদখালী, উপজেলা-জিয়ানগর, জেলা-পিরোজপুর। আর দেলোয়ার সিকদারের পিতার নাম রসূল সিকদার, গ্রাম- চিলা, সিকদার বাড়ি, পিরোজপুর সদর, জেলা-পিরোজপুর। ৯ম সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডারসহ পিরোজপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাক্ষ্য দিয়েছেন যে, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আর দেলোয়ার সিকদার এক ব্যক্তি নয় এবং দেলোয়ার সিকদারকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই তার স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন এবং সরকারের ২৩ নম্বর সাক্ষী মধুসূধন ঘরামী জেরায় একথা স্বীকারও করেছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘পিরোজপুর আদালতে করা সরকারের সুবিধাভোগী দুই মামলার বাদী মানিক পশারী আর মাহবুবুল আলম হাওলাদার তাদের করা মামলাতেও আল্লামা সাঈদীর নাম দেলু সিকদার বা দেলোয়ার সিকদার হিসেবে উল্লেখ করেনি। এমনকি মামলার চার্জশিটেও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। দেলু সিকদার বা দেলোয়ার সিকদার হিসেবে নয়।’’
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘‘এমনকি বাংলাদেশের কোন পত্র-পত্রিকা, রেডিও-টিভি কিংবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংক্রান্ত কোন দলিলে তথাকথিত এই যুদ্ধাপরাধ মামলা দায়েরের পূর্বে কোথাও, কখনো, কোনদিন আল্লামা সাঈদীকে দেলোয়ার সিকদার বা দেলু সিকদার কিংবা যুদ্ধাপরাধী বা স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে একটিবারের জন্যও চিহ্নিত করা হয় নাই।’’
তিনি বলেন, ‘‘এরপরও সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়ন ও প্রতিবেশী একটি দেশের ইচ্ছা পূরণের জন্য আমার আব্বা আল্লামা সাঈদীকে দেলোয়ার সিকদার বা দেলু সিকদার সাজিয়ে অবৈধ ফাসির রায় দেয়া হয়েছিল ।’’ মাসুদ মাঈদী বলেন, এর চাইতে ভয়ংকর জুলুম আর কি হতে পারে ? বিচারেরে নামে এর থেকে বড় প্রহসন আর কি হতে পারে ?’’