একজন মানুষের বিভিন্নভাবে মৃত্যু হতে পারে। বার্ধক্যে পদার্পণ পরবর্তী মৃত্যু পরিণত বয়সের মৃত্যু এবং এরূপ মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু। অপরদিকে অপর সকল মৃত্যু অপরিণত বয়সের মৃত্যু। পরিণত বা অপরিণত বয়সে রোগ-ব্যধিতে মৃত্যু হলে সে মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু আর এর বিপরীতে পরিণত বা অপরিণত বয়সে দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে মৃত্যু হলে সেটি অস্বাভাবিক মৃত্যু।
এমন অনেক মানুষ আছেন যারা স্বেচ্ছায় আত্মহননের পথ বেছে নেন। আত্মহননের কাজটি করতে গিয়ে কেউ যদি ব্যর্থ হয় সে ক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কারণ কোনো দেশের প্রচলিত আইন বা কোনো ধর্ম কোন ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অধিকার দেয়নি। তবে একজন মানুষ স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করলে সেক্ষেত্রে অপরাধটি শাস্তিযোগ্য নয় এ কারণে যে, মৃত্যুর পর কোন মানুষের বিচার করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের দেশসহ যে কোন দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কোন অপরাধী বিচার কার্য চলাকালীন মৃত্যুমুখে পতিত হলে তার নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়।
এ ক্ষেত্রেও একই যুক্তি মৃত ব্যক্তির বিচারের অধিকার মানুষের নেই এবং এ বিষয়ে যে বিধান মেনে চলা হয় তা হলো একজন অপরাধীর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার অপরাধেরও মৃত্যু ঘটে। একজন অপরাধীকে অপরাধের বিবেচনায় বিচার পরবর্তী যদি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়ে তা কার্যকর করা হয় সে ক্ষেত্রে এটিকে বিচারিক হত্যাকাণ্ড বলা হয়। বিচারিক হত্যাকাণ্ড যে কোনো দেশের প্রচলিত আইন ও ধর্মীয় অনুশাসন দ্বানা স্বীকৃত ও সমর্থিত, যদিও বিগত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে মৃত্যুদণ্ডের সাজা রহিত করা হয়েছে।
আমাদের দেশে বিগত প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ‘ক্রসফায়ারে মৃত্যু’ শব্দটি পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিটি ক্রসফায়ারে মৃত্যু পরবর্তী শৃঙ্খলা বাহিনী অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে একই ধরণের বক্তব্য দেয়া হয়। আর বক্তব্যটি হলো আটক পরবর্তী পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলির কারণে মৃত্যু ঘটেছে অথবা আটক ব্যক্তিকে নিয়ে তার দেখানো মতে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার অনুগত বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হওয়া পরবর্তী আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়লে মৃত্যু হয়েছে।
এ ধরণের মৃত্যুকে বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড বলা হয় এবং যে কোন সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশের জন্য এ ধরণের হত্যাকাণ্ড চালানো বিচার বহির্ভূত এবং আইনবিরুদ্ধ। নরহত্যা গুরুতর ও নিকৃষ্ট ধরণের অপরাধ। দেশভেদে নরহত্যার সাজা মৃত্যুদন্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদন্ড। মৃত্যু ঘটানোর অভিপ্রায়ে কোন কার্য দ্বারা মৃত্যু ঘটানোকে দন্ডার্হ (Culpable homicide) নরহত্যা বলা হয়। দন্ডার্হ নরহত্যাকে খুন হিসেবে গণ্য করা হয়। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আইন দ্বারা স্বীকৃত নয় বিধায় এটি দন্ডার্হ নরহত্যা অথবা খুন।
বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বাস জন্মানো না যাবে যে, মৃত্যু ঘটানোর অভিপ্রায়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়নি ততক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বাস করার সঙ্গত কারণ থাকে যে, প্রকৃতই হত্যাকাণ্ডটি মৃত্যু ঘটানোর অভিপ্রায়ে সংগঠিত হয়েছে।
আমাদের দেশে কমিউনিস্ট নেতা সিরাজ শিকদার পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার পরের দিন পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আটকাবস্থা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হলে তার মৃত্যু ঘটে। সে সময়কার পুলিশের বক্তব্যটি দেশবাসীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, যদিও তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী সিরাজ শিকদারের মৃত্যু পরবর্তী জাতীয় সংসদে দম্ভভরে বলেছিলেন- ‘কোথায় সিরাজ শিকদার?’ সিরাজ শিকদার বা তার বাহিনী কর্তৃক হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়ে থাকলেও এ জন্য বিচার বহির্ভুতভাবে তাকে হত্যা আইনের শাসনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
২০০১-এ বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতসীন হলে কোন এক অজানা কারণে শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই অভিযানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং কথিত সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্যক্তিকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়। এ হত্যা পরবর্তী অপারেশন ক্লিন হার্ট কার্যক্রমকে দায়মোচন দেয়া হয় যেমন দায়মোচন দেয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ হত্যাকাণ্ড সংগঠন পরবর্তী।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ তে সংশোধনীর মাধ্যমে ২০০৩ সালে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) গঠন করা হয়। র্যাবে পুলিশ, সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। র্যাবকে অপরাধ তদন্তের ক্ষমতা দেয়া হলেও মামলা রুজু ও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দ্বারস্থ হতে হয়। তাছাড়া সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনে যে বিধান রয়েছে সে বিধান অনুযায়ী র্যাব কর্তৃক গ্রেফতারের পর কোনরূপ কালক্ষেপণ না করে অপরাধীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করাই সংবিধান ও প্রচলিত আইন। কিন্তু কয়টি ক্ষেত্রে হস্তান্তর করা হয় সে বিষয়ে দেশবাসী সন্ধিহান। ক্রসফায়ারে মৃত্যু ঘটানোর ব্যাপারে র্যাবের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ অনুরূপ অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেও রয়েছে।
সংবিধানের ৩৩(২) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬১ তে সুষ্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে, গ্রেফতারকৃত একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার সময় ব্যতিরেকে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির করতে হবে। কিন্তু র্যাব বা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার পরবর্তী যে সব ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয়স্বজন, বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় সংবিধানের ৩৩(২) অনুচ্ছেদ এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬১ এর বাধ্যবাধকতা অনুসরণ না করেই অপরাধীদের এ দু’টি বাহিনী গ্রেফতারের সঠিক দিন-তারিখ গোপন রেখে ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ঘটনা সংগঠনের প্রয়াস নিয়েছে।
পুলিশ, র্যাব, শৃঙ্খলা বাহিনী অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে কোনো সদস্য কোনো অপরাধী বা তার অনুগত বাহিনী দ্বারা আক্রান্ত হলে আত্মরক্ষার্থে কতটুকু শক্তি বা বল প্রয়োগ করতে পারবে তাও আইন দ্বারা নির্ধারিত। এ বিষয়ে দণ্ডবিধির ধারা ৯৭-এ মনুষ্য দেহ ক্ষুন্নকারী যে কোনো অপরাধের বিরুদ্ধে তার স্বীয় দেহ ও অন্য যে কোনো ব্যক্তির দেহের প্রতিরক্ষার অধিকার দেয়া থাকলেও সে অধিকারের ব্যাপ্তি এতটুকু বিস্তৃত নয় যে, এ যাবৎকাল ক্রসফায়ারের নামে যে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তাতে একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তিতে ক্রসফায়ারের যৌক্তিকতা ও গ্রহণযোগ্যতার সৃষ্টি হয়।
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সেনা, নৌ, বিমানবাহিনী শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত এবং এ তিনটি বাহিনী ব্যতীত অন্য কোনো বাহিনীকে আইনী ঘোষণার মাধ্যমে শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হলে সে বাহিনীটিও আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী হবে। অপরদিকে বিভিন্ন আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলতে পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, কোস্ট গার্ড বাহিনী ও শৃঙ্খলা বাহিনীসমূহকে বুঝানো হয়েছে। উপরোক্ত ব্যাখ্যা থেকে দেখা যায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত সেনা, নৌ, বিমানবাহিনীর সদস্যরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে অপরাপর বাহিনী যতক্ষণ পর্যন্ত আইন দ্বারা শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে ঘোষিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ সকল বাহিনী বা এর কোনো একটি শৃঙ্খলা বাহিনী নয়।
আমাদের দেশে বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে দেশের সচেতন নাগরিকসহ সুশীল সমাজ দীর্ঘদিন ধরে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজ বক্তব্য তুলে ধরছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাসমূহের অবস্থান একই। বিগত বছরগুলোর ক্রসফায়ারের ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় একই ধরণের ঘটনা বিএনপি, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় সংগঠিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এ দু’টি দল বিরোধী দলে থাকাবস্থায় একে অপরের শাসনামলে সংগঠিত ক্রসফায়ারে মৃত্যুর ব্যাপারে সোচ্চার থাকলেও ক্ষমতাসীন থাকাবস্থায় এরা কেউ এ ধরণের ঘটনা থেকে নিজেদের নিবৃত্ত রাখতে পারেনি।
দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের ওপর ন্যস্ত। পুলিশ ব্যর্থ হলে অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা নেয়ার বিধান থাকলেও তা কখনও পুলিশের মামলা রুজু ও অভিযোগপত্র দায়েরের ক্ষমতাকে খর্ব করে না। পুলিশ বাহিনীর সদস্যের মতো শৃঙ্খলা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বাহিনীসমূহের প্রতিটি সদস্যের নিজ সম্পাদিত যে কোনো কর্মের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা রয়েছে।
সরকারের প্রশ্রয়ে জবাবদিহিতায় শিথিলতার কারণে একই ব্যাখ্যার পুনরাবৃত্তিতে ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটে চলছে। এতে করে সরকারে থাকাকালীন বিরোধীদের দমন করার উদ্দেশ্যে নেয়া হলেও তাতে কি পূর্ণ সফলতা পাওয়া যায়? আর সে প্রশ্নে না গিয়ে বরং প্রশ্ন হতে পারে কেন এ বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড? তাছাড়া এখনকার সরকারি দল ও দলের নেতাকর্মী ক্ষমতা থেকে বিদায় পরবর্তী একই ঘটনার শিকার যে হবে না সে নিশ্চয়তা কোথায়? বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ড বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুল্য।
পোশাকধারী বা পোশাকবিহীন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য কর্তৃক বাড়ি অথবা যে কোনো স্থান থেকে তুলে নিয়ে হত্যা ও গুমের ঘটনা সাম্প্রতিককালে ক্রসফায়ারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে। এ ধরণের হত্যাকাণ্ডও বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত। ক্রসফায়ারের সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের পার্থক্য হলো ক্রসফায়ারের ক্ষেত্রে নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন লাশটি ফিরে পেয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করতে পারে যেটি শেষোক্তটির ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। এমনকি তুলে নেয়া পরবর্তী লাশ ফেরত না পাওয়া গেলে নিহত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজনদের দীর্ঘকাল এ ধারণাটি বদ্ধমূল থাকে যে, হয়তো-বা তুলে নেয়া ব্যক্তি জীবিত রয়েছে। এ ধরণের ঘটনা যে কতটুকু বেদনাদায়ক তা ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউই অনুভব করতে পারবে না।
কোনো ব্যক্তি অপরাধী হিসেবে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হলে এই মৃত্যুর সন্তোষজনক কারণ দেখাতে হবে এবং তার না পারলে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সদস্য বা সদস্যদের ওপরই বর্তাবে। স্বৈরশাসনের কবলে পড়েছে পৃথিবীর এমন দেশ যেমন- চিলি, আর্জেন্টিনা, লিবিয়া, মিশর, ইরাক, ইরানের জনসাধারণের ক্রসফায়ার, গুম এবং নিখোঁজ করে দেয়ার ঘটনার সঙ্গে পরিচয় ঘটে থাকলেও সেসব দেশের সব স্বৈরশাসকদের পরিণতি কি হয়েছিল তা সবারই জানা আছে।
কিন্তু ওই পরিণতির কথা কোনো শাসকই কখনই ভাবেনি এবং কখনো ভাবে না।
লেখক: সাবেক জজ, সংবিধান ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক