সত্য কথা সব সময়ই তিতা হয়।তাই সত্যবাদী নারীও অপ্রিয় হয়।স্পষ্টভাষী নারীকে মুখরাই বলা হয়।লাজুক লতা কোনো উর্বশী যত বেশি কাঙ্ক্ষিত, ঠোঁটকাটা রমনী ততটাই যেন এড়িয়ে যাওয়ার। অধিকাংশের কাছেই সরাসরি কথা বলা মেয়ে অপছন্দের। বড় বেশি অপ্রিয় সত্যও তারা বলে দেয় সবার সামনে। কথায় সততা থাকলেও রস-কষ কম থাকে, কথাগুলোও হয় রুঢ়। কিছু রহস্যময়ী মেয়ে হেয়ালি করা আর চোখ মুখের কারসাজিতে সহজ পরিবেশকে ঘোলাটে করে তোলে। তারা নিজেদেরকে সরাসরি উপস্থাপন করতে পারে না। আবার আশা করে যেন কেউ তাদের প্রয়োজনের সবটুকু বোঝে। অপরদিকে, সরাসরি কথা বলা মেয়েরা নিজেদেরকে পরিষ্কারভাবে উপস্থাপন করতে পারে।কারও ভাল লাগল কি লাগল না তা নিয়ে মাথা ঘামায়না। জীবনটাও তাদের অনেক সহজ হয়। তাই সত্যিকার অর্থে খোলাখুলি কথা বলা নারীরাই অন্যদের চেয়ে অনেক দিক থেকে ভালো।
নীচের আলোচনা থেকে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
সরলতা
ধরুন কোনো মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে অথবা করে না। সরাসরি কথা বলা মেয়েরা আপনাকে মোটেও ঘুরাবে না। কথা প্যাচাবে না। সে সরাসরি তার পছন্দ-অপছন্দের কথা অকপটে বলবে। অপরদিকে, যারা মনের কথা চেপে রাখে, বলতে দ্বিধা, তাদের কাছে আপনার ভোগান্তির শেষ নেই। তাই স্পষ্টভাষী এমন নারীর প্রতি আকর্ষণের বিশেষ কারণ হতে পারে তার সরলতা।
আবেগের প্রকাশ
যেসব মেয়ে কোনো লুকোচুরি পছন্দ করে না তারা নিজের প্রয়োজন সম্পর্কে স্পষ্ট থাকে। আবেগ অনুভূতি প্রকাশেও তার ধরন থাকে স্পষ্ট। কোনো রকম টাল-বাহানা ছাড়াই মনের ইচ্ছা প্রকাশ করবে। নিজের ভূমিকা পালনেও কুণ্ঠাবোধ করবে না। সে কখনো নিজের আচরণে লজ্জা পাবার ভান করবে না।
প্রতারক নয়
যারা সারসরি কথা বলে তারা আর যাই হোক প্রতারক নয়। আপনাকে কথা দিলে তার গুরুত্ব বহন করবে। আপনার অবর্তমানে প্রতারণা করার প্রবণতা তার থাকবে না।
স্বাধীন–নির্ভীক
যেসব মেয়ে সরাসরি কথা বলতে পছন্দ করে তারা কোনো বাধা-বিঘ্নতে ভয় পাবে না। কারো কাছে প্রতিরক্ষারও আশা করে না। নিজের চলাফেরা নিয়ে সে সব সময় সচেতন। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সঠিকটাই নেবে। কারো দিকে চেয়ে থাকা তার কাজ নয়।
যুক্তিসঙ্গত তর্ক
যারা সরাসরি কথা বলার সাহস রাখে তাদের চিন্তাভাবনা থাকে একদম পরিষ্কার। কথা বার্তাতে কোনো জড়তা বা খোড়া যুক্তির আশ্রয় থাকে না। তর্ক করলেও তা হবে যুক্তিসঙ্গত। যেকোনো বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থেকেই যুক্তি-তর্কে যাবে।
দায়িত্বশীল
এ ধরনের মেয়েরা খুবেই দায়িত্বশীল হয়। যে কোনো পরিস্থিতি সামলে নেয়ার মতো ক্ষমতা তার থাকে। বাচ্চা, স্বামী, সংসার, চাকরি বা ব্যবসা- সবকিছুতেই তার সমান কর্তব্যপরায়ণতা থাকে। এমন নারীরা জীবন সঙ্গীনী যেকোনো পুরুষকেই সুখি করতে পারে।
গ্রন্থনা: তনিমা রহমান