গত সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসাছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ এবং মাদ্রাসা ছাত্র নিহতের পর মঙ্গলবার দিনভর সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় আটটি মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাতটি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। এসব মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৪৪ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মোট ছয় হাজার ৯৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুর রহমান থানায় সাতটি মামলা এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সাত্তার মামলা দায়েরের বিষয়টি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিশ্চিত করেন।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইশতিয়াক আহাম্মেদ জানান, ১১ জানুয়ারি সোমবার রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই রাতেই সদর থানার এসআই আলী আক্কাস বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে মামলা করেন। পরের দিন ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশবাহী পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর থানার এসআই রুবেল ফরাজী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাত-আটশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
একই দিন সদর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) রানা নুরুস শামস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাত-আটশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
শহরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুল ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক চমন সিকান্দার জুলকার নাঈন অজ্ঞাতনামা আট-নয়শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। প্রশিকার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় শাখা ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সাত-আটশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হালদারপাড়া এলাকায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনায় ব্যবসায়ী ফেরদৌস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা তিন-চারশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিতাস সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় সংগঠনের সম্পাদক বাছির দুলাল বাদী হয়ে আট-নয়শ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান বাদী হয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। এ ছাড়া আরো কয়েকটি মামলার প্রস্ততি চলছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।