অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তা নিজেই থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে বললেন অপহরণকারীরা তার চোখ মুখ বেধে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে। অপহৃত ব্যাংক কর্মকর্তার নাম এ আর এ আখতারুজ্জামান কচি। তার বাড়ি রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার ধাঁনসিড়ি গ্রামে। গত ২১ জানুয়ারি বোয়ালিয়ার মাওলানা কাশেমি মাদরাসা রোডের নন্দিতা প্রেস থেকে আখতারুজ্জামান অপহৃত হন বলে তার পিতা এ আর এ আফসারুদ্দিনের করা মামলা থেকে জানা গেছে। আখতারুজ্জামান এক্সিম ব্যাংকের (এসএভিপি) একজন সাময়িক বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা। গত ৬ মাস আগে এক্সিম ব্যাংক বগুড়া শাখা থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বোয়ালিয়া থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদত হোসেন খান জানিয়েছেন।
নন্দিতা প্রেসের মালিক মামলার সাক্ষী মো. জিয়াদুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আখতারুজ্জামান বাড়ি আসলে তার প্রেসেই সময় কাটিয়ে থাকেন। গত ২১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে আখতারুজ্জামান তার প্রেসে আসার কিছু সময় পর একটি মাইক্রোবাস এসে থামে এবং কয়েকজন লোক তাকে মাইক্রোবাসে তোলে নিয়ে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মখর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, আখতারুজ্জামান কচি মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় থানায় হাজির হয়ে জানান, তাকে অপহরণকারীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের নাসির গ্লাস ওয়্যার ফ্যাক্টরীর সামনে চোখ বাধা অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায়। অপহরণের পর দীর্ঘ ১২দিন চোখ বাধা একজন মানুষ যে অবস্থায় থাকার কথা তার দৈহিক অবস্থা ও পোষাক পরিচ্ছদ দেখে তা মনে হয়নি। চোখ বাধা অবস্থায় মহাসড়কের পাশে কোন মানুষকে ফেলে রাখলে তার পরনের পোষাকে ময়লা বা ধোলাবালি থাকার কথা। কিন্তু এ আর এ আখতারুজ্জামানকে দেখে তেমন কিছু মনে হয়নি বলে ওসি মাইন উদ্দিন জানান। রাত একটার দিকে তার পিতা ও ভাই ঢাকা থেকে এসে আখতারুজ্জামানকে নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান। বিষয়টি রহস্যজনক বলেও তিনি সন্দেহ করেন।
Prev Post
Next Post