পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনু। তার বড় মেয়ে রুমা আক্তারের বিয়ে ছিল শনিবার। আর সে জন্য পুরো উপজেলায় ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। মরুরা গ্রামে কনের বাড়িতে করা হয় বিলাসবহুল তোড়ন, আলোর ঝলকানি।
এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ, প্রশাসন, শিক্ষক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ প্রায় ২০ হাজার লোককে নিমন্ত্রণ করা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ করেই আকাশ থেকে নেমে এলো বর। দেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে হরতাল-অবরোধ থাকায় দুপুর দেড়টার দিকে বর হেলিকপ্টারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগেই প্রস্তুত ছিল কনের আত্মীয়স্বজনসহ অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণী। বিপুল সমারোহে চলে অতিথি আপ্যায়ন। অতিথিদের সেবা দিতে প্রস্তুত ছিল পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকও।
দুপুরের খাবারের তালিকায় ছিল মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, গরুর মাংস, মিষ্টান্ন, জর্দা, কোমলপানীয়, দই। বরের জন্য করা হয়েছিল স্পেশাল রেসিপি। অতিথিদের পর্যাপ্ত খাবার পরিবেশনের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছিল পাঁচ হাজার দেশি মুরগি, ৫০টি খাসি, ৩০টি গরু।
এর আগে ১০ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। বরের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলায়। এমএ হালিম খানের ছেলে কেএম তানভীর সিদ্দীকী সজীব। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নববধূকে নিয়ে নেত্রকোনার উদ্দেশে যাত্রা করেন বর।
বিয়ের আয়োজক ও কনের বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু বাংলামেইলকে বলেন, ‘জনগণকে নিয়ে সারাজীবন রাজনীতি করেছি। তাদেরকে নিয়ে সুষ্ঠুভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারায় আমি আনন্দিত।’