মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানালেন ওসি হামিদুর রহমান সিদ্দিকী পিপিএম। [ads1]
জুড়ী থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলা নং-১(১.৬.১৬) সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি পুর্বের একটি মামলার আপস নিষ্পত্তির সূত্র ধরে গত বছরের ২৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের গৃহবধূর বাড়িতে যান। জামায়াতের লোকজন রাস্তায় পেলে তাকে মেরে ফেলবে জানিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান মনি গৃহবধূর বাড়িতে রাত্রি যাপনের প্রস্তাব দেন। রাতে তিনি গৃহবধূর কলেজ পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানী ঘটান ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এঘটনায় গৃহবধূ ইউএনওসহ প্রশাসনের বিভিন্ন জনের কাছে বিচারপ্রার্থী হলেও একজন অন্যজনের কাছে যাওয়ার কথা বলে সময় ক্ষেপন করেন।
এ ব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি মানবকণ্ঠকে জানান, যে মহিলা থানায় মামলা করেছেন তাকে কিংবা তার মেয়েকে তিনি চেনেন না। এলাকার একটি প্রভাবশালী চক্র তার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। গত কয়েকদিন আগে ওই প্রভাবশালী মহল তার বাসায় হামলা চালিয়েছে এবং তাকে সাম্প্রদায়িক ভাবে গালিগালাজ করে প্রাণে হত্যা ভয় দেখিয়েছে। এরাই এ মহিলাকে দিয়ে থানায় মিথ্যা মামলা করিয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি হামিদুর রহমান সিদ্দিকী পিপিএম জানান, প্রায় ৬ মাস আগের একটি ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনির বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে এক গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে। [ads2]
Prev Post