শুক্রবার রাজশাহীর পবায় কথিত চুরির অভিযোগে নির্যাতিত কিশোর জাহিদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও নির্যাতনের শিকার আরেক কিশোর ইমন ছাড়া পেয়ে নিখোঁজ ছিল। রোববার রাতে নির্যাতিত ইমনের (১৩) খোঁজ মিলেছে।
ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ইমনকে তার নানার বাড়ি পবা উপজেলার সুন্দলপুর গ্রাম থেকে রোববার দিনগত গভীর রাতে উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধারের পর কিশোর ইমনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে পুলিশ। কীভাবে সবাই মিলে জাহিদ ও তার ওপর নির্যাতন চালায় সে ভয়ানক বিবরণও পুলিশকে দিয়েছে ইমন। উদ্ধারের পর ইমনকেও পবা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
পবার দর্শনপাড়া ইউপি সদস্য মনসুর রহমান জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইমন তার নানা সোলাইমানের বাড়িতে উপস্থিত হয়। সে শারীরিকভাবে চরম অসুস্থ ছিল। ঘটনা জানাজানির পর ইমনের মামা আব্দুল খালেক রোববার রাতে পবা থানা পুলিশকে তাদের বাড়িতে ইমনের আশ্রয় নেওয়ার সংবাদটি দেন। পরে রাতেই পুলিশ সুন্দলপুর গ্রাম থেকে ইমনকে উদ্ধার করে।
পবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ইমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে নির্যাতনের কারণে আতঙ্কগ্রস্ত থাকায় প্রাথমিকভাবে তার চিকিৎসার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সুস্থ হয়ে উঠলে নির্যাতনকারীদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইমন এখনো কিছুটা ভারসাম্যহীন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, চৌবাড়িয়া গ্রামের রাকিবের মোবাইল ফোন চুরির কথিত অভিযোগে শুক্রবার বিকেলে গ্রামের ইমরানের ছেলে জাহিদ হাসান (১৫) এবং মৃত মাসুদ রানার ছেলে ইমনকে (১৩) ঘরের মধ্যে আটকে রেখে ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়।
এই ঘটনায় শনিবার রাতে দুই কিশোর নির্যাতনের অভিযোগে পবা থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা রেকর্ডের পর পুলিশ নির্যাতনকারী একজনকে গ্রেফতার করেন।