গোপালগঞ্জে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটাই সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
সোমবার ভোর রাতে গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিস এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। মঙ্গলবারের তাপমাত্রাও এর কাছাকাছি থাকতে পারে বলে ওই আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জে শীত জেঁকে বসেছে। হঠাৎ করে তামমাত্রা কমে যাওয়ায় জেলার ছিন্নমূল, গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। ঠাণ্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গোপালগঞ্জ কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, বর্তমানে গোপালগঞ্জের ওপর দিয়ে মাঝারী ধরণের শৈত্য প্রবাহ চলছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এ শৈত্য প্রবাহ বিদ্যমান থাকবে। এ কারণে মঙ্গলবারের তাপমাত্রা রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কাছাকাছি থাকতে পারে। তবে, দিনের বেলায় আকাশে রোদ থাকায় আবহাওয়া উষ্ণ থাকবে। বাতাসের সঙ্গে কনকনে শীতও থাকবে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনো শিশু রোগী এখনও হাসপাতালে আসেনি। এখন যে সব শিশু রোগী আসছে এটা গতানুগতিক। তবে, আরো কয়েকদিন শীতের অবস্থা এমন থাকলে শিশুরা বেশি পরিমাণ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। শিশুদের গরম কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখতে পরামর্শ দেন তিনি।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী জানিয়েছেন, রাতে আবহাওয়া কমে গেলেও দিনের বেলায় রোদ থাকলে ফসলের ওপর প্রভাব পড়বে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Next Post