দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত বিষ্ণু বর্মন (২৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে বীরগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
আটককৃতরা হলেন ঠাকুরগাও জেলার সদর উপজেলার আরাজি চাঙ্গীপুর গ্রামের শমশের আলীর ছেলে সমারু ইসলাম (৪০), কুষ্টিয়া জেলার কুমার খালি উপজেলার চর বানিয়াপাড়া গ্রামের মকবুল মন্ডলের ছেলে নুর আমিন মন্ডল (৩৫) ও একই এলাকার বানিয়াপাড়া গ্রামের আল আমিন মন্ডলের ছেলে বাদশা মন্ডল ( ২২)।
আজ রোববার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত বিষ্ণু বর্মন বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের নন্দগাঁও গ্রামের বলরাম গোস্বামীর ছেলে। সে পেশায় একজন দর্জি ছিলেন।
বীরগঞ্জ থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম-২ জানান, গত শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে কাহারোল উপজেলার বলেয়া বাজারে টেইলারের দোকান বন্ধ করে বিষ্ণু বর্মন মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী ফিরছিল। পথে বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের নর্তডাঙ্গী শালতলা আফজালের আম বাগানের সামনে ৭/৮ জনের একটি ছিনতাইকারী চক্র তার গতিরোধ করে ধারালো অন্ত্র দিয়ে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে আহত করে মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং বিষ্ণু বর্মন কে আহত অবস্থায় বীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ রোববার ভোরে সময় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ব্যাপারে নিহত বিষ্ণু বর্মনের শ্বশুর বিজয় কুমার বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং০৪।
বীরগঞ্জ থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্যান্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Prev Post
Next Post