[ads1]স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: এই সুন্দর ফল ,সুন্দর ফুল ,মিঠা নদীর পানি-খোদা তোমার মেহের বাণী, আর সেই মেহেরবাণী ও সুন্দর পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিতে চলেছে ঝিনাইদহের রামপ্রসা (১৯)।
ঝিনাইদহের সদর থানার হামদহ এলাকার আলহেরা পাড়ার কাঞ্চনপুর গ্রামের ঠাকার দাসের ছেলে রামপ্রসাদ দাস জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে চির বিদায় নেিত চলেছেন এই সুন্দর পৃথিবী থেকে। রাম প্রসাদের মামা দিলীপ কুমার ও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন,আজ থেকে প্রায় ১৯ বছর আগে রাম প্রসাদের জন্মের পর পরই তার বাবা ঠাকুর ভারতে পাড়ি জমায়। সেই থেকে আজ অবধি সংসারের সাথে সংগ্রাম করে চলেছেন তার জনম দুঃখিনী মা। মায়ের পরের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে চলছে রামপ্রসাদদের ছোট্ট সংসার।
সাথে সাথে জিবন বাচার তাগিদে ৮/৯ বছর বয়স থেকেই বিভিন্ন সেলুনে কাজ করে চলেছে ছোট্ট ছেলে রাম প্রসাদ। কিন্তুু বীধির বীধান খন্ডাবে কে ? গত ২ বছর পুর্বে পারফেক্ট জেন্টস পার্লার এন্ড সেলুনে কর্মরত অবস্থায় রামপ্রসাদের মাজার ভিতরে ব্যাথা করতে শুরু করে। এমত অবস্থায় ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালে হাড় ও শিরা বিশেষগ্গ ডাঃ শাহাবুল করিমের দায়িত্বে ২ মাস ভর্তি থাকা অবস্থায় ঝিনাইদহ,যশোর,কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে রাম প্রসাদের মাজা ও বাম পার্শ্বের পায়ের ভিতরে ক্যালসিয়াম সুকিয়ে যাচ্ছে। এই ২ মাসের ভিতরে সে সম্পুর্ন পঙ্গু হয়ে গিয়েছে।[ads1]
পঙ্গু হবার করনে রামপ্রসাদের হাটাচলা সম্পুর্ন বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই ১৯ বছরের টগবগে যুবক রামপ্রসাদের ঝিনাইদহের সদর হাসপাতালের ডাক্তার সমস্ত পরীক্ষা নীরিক্ষার যাচায় বাচায় করে রামপ্রসাদকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সরেজমিনে সাংবাদিক জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাম্যান আমির হোসেন কে সাথে নিয়ে রামপ্রসাদের বাসায় গিয়ে দেখা গেছে পরের জমিতে খড়কুটোর একটি ছোট্ট বাড়িতে সে ও তার মা বসবাস করে-ঝড়ঝাপটায় বসবাসের অযোগ্য।
জনম দুঃখিনী মায়ের একমাত্র সন্তান পঙ্গু রামপ্রসাদের মুখে দুবেলা দুমুঠো খাবার তুলে দিতে মা বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে। রামপ্রসাদের গ্রামবাসীরা তার চিকিৎসার জন্য অনেক অনুনয় বিনয় করেছেন দেশের হৃদয়বাদ ব্যাক্তি বর্গের নিকটে। আরো জানাগেছে, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করার সত্তে¡ও অর্থের অভাবে সেখানে চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না। এমন কি ২/১ শত টাকা খরচা করে ঔষধ কিনে খাবে সেই ক্ষমতাও তার নাই।[ads1]
মানুষ মানুষের জন্য জিবন জিবনের জন্য একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু, এই বিখ্যাত গানের কলিটির কথা মনে করে শুধু মাত্র বেঁচে থাকার জন্য দেশের হৃদয়বান ব্যাক্তিবর্গের নিকটে তার ছোট্ট ২টি হাত বাড়িয়েছেন অভাগা রাম প্রসাদ। যদি কোন সুহৃদয়বান ব্যাক্তিবর্গ রামপ্রসাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে চান, তাহলে নিচে রামপ্রসাদের মায়ের বিকাশ নাম্বার ও একাউন্ট নাম্বার দেয়া হল, যোগাযোগ করে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন।
বিকাশ নাম্বার- ০১৭৫৮ ৬১২৩৮৮
ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার-চায়না খাতুন,একাউন্ট নং-৫৮৭৪,অগ্রনী ব্যাংক,হামদহ শাখা,ঝিনাইদহ সদর. ঝিনাইদহ।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: রামপ্রসাদের বাবা তাদের ছেড়ে ভারতে চলে যাবার পরে রামপ্রসাদের মা ইসলাম ধর্মগ্রহন করে।[ads1]