রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তের বছরের এক কিশোরী উদ্ধার হয়েছে। একদল নারী পাঁচারকারী ফরিদপুর থেকে কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে দৌলতদিয়াঘাটে এনে তাকে স্থানীয় যৌনপল্লীতে বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। আজ মঙ্গলবার বিকেলে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর পাশে সামসু মাস্টারেরপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গোয়ালন্দঘাট থানাপুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধারকৃত ওই কিশোরী ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা এলাকার এক দিনমজুরের মেয়ে। দীর্ঘদিন যাবত সে ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তারমোড় নামক এলাকায় খালাতো বোনের বাসায় সে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল। গত সোমবার বিকেলে মেয়েটি বাসার বাইরে বের হলে ছিদ্দিক নামে এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এসময় ভাল কাজ দেয়ার কথা বলে ওই ছিদ্দিক মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর পাশে সামসু মাস্টারেরপাড়া গ্রামের এহিয়া খানের বসত বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে ওই মেয়েটিকে ঘরের ভিতরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরদিন আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এহিয়া খান, দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর প্রভাবশালী বাড়িওয়ালী জানু বেগম ও যৌনকর্মী কেয়া মিলে ওই মেয়েটিকে যেৌনপল্লীতে বিক্রি করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। এমন অবস্থায় গোপন সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দঘাট থানাপুলিশ আজ বিকেলে সামসু মাস্টারেরপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় এহিয়া খানের বসত বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট যৌনকর্মী কেয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এহিয়া খান ও পল্লীর বাড়িওয়ালী জানু বেগম পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ওই কিশোরীর খালাতো বোন শিরিনা সুলতানা নিজে বাদী হয়ে এ ব্যাপারে গোয়ালন্দঘাট থানায় একটি মামলা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এহিয়া খান ও জানু বেগম দুজনই নারী পাঁচার চক্রের হোতা। তাদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দঘাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।