নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জাহিদুল আলম মারুফ (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের চৌধুরীরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জাহিদুলের প্রতিবেশী মো. বাহাদুর জানায়, কিছু দিন আগে পার্বতীপুর এলাকায় একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় যুবলীগ নামধারী চিহ্নিত সন্ত্রাসী মো. আজাদ ও তার সহযোগীরা ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে থানায় মামলার সহায়তা করেন জাহিদুল।
এদিকে কিছুদিন আগে মো. আজাদ ও তার সহযোগীরা জাহিদুলের বোন আছমা আক্তারের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় এবং ধর্ষণের মামলায় সহায়তা করায় আজাদ ও তার সহযোগীরা জাহিদুলের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হন।
এলাকাবাসীর দাবি করে, ওই দুই ঘটনার জের ধরে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে আজাদ তার সহযোগীদের নিয়ে চৌধুরীরহাট ও আশপাশের এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দেয়। একপর্যায়ে তারা জাহিদুলের বাসায় গিয়ে হুমকিও দেয়। ঘটনাটি পরপরই পুলিশকে জানানো হলেও তারা যথাসময়ে ঘটনাস্থলে আসেনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাতের দিকে জাহিদুল বাসায় ঢোকার সময় সন্ত্রাসীরা তার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুধীর বড়ুয়া বলেন, কয়েক দিন আগের একটি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সহায়তা করেন জাহিদুল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ ঘটনার জেরেই আজাদ ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করেছে।
এসআই বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তবে ঘটনার বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
জাহিদুল চরপার্বতী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি চীন থেকে পণ্য আমদানির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।