নাটোর: নাটোরের তেবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে রায়হান ও রাকিব নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন ১৫ জন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের তেবাড়িয়া মোড়ের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নেতাকর্মীরা সকালে তেবাড়িয়া মোড়ে জড়ো হয়। এসময় মোটরসাইকেল যোগে কয়েকজন এসে গুলি করে চলে যায়।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার বাসুদেব বণিক জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের তেবাড়িয়া মোড়ে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ দুই জনকে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক নিহত দুজনকে নিজেদের কর্মী দাবি করেছেন।
এর আগে রোববার বিকেল ৫টার দিকে নাটোর বনপাড়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল আলমের নেতৃত্বে বিএনপি মিছিল বের করে। পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে বনপাড়া পৌর গেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশের লাঠিচার্জে বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ একরামুল আলম, পৌর সভাপতি লুৎফর রহমান, বিএনপি নেতা হোসেন আলী, ছাত্রদল নেতা কোরবান আলী, স্বপন ও সোহেল আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
পরে মিছিল থেকে মাঝগাঁও ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি ও লাথুরিয়া গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে আবুল কালাম আজাদকে পুলিশ আটক করে।