!['পানির বোতল' বিস্ফোরণ, আতঙ্কে অসুস্থ ১৯ ছাত্রী]()
- ‘পানির বোতল’ বিস্ফোরণ, আতঙ্কে অসুস্থ ১৯ ছাত্রী
পাবনার একটি স্কুলে ‘পানির বোতল’ বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কে ১৯ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ ছাত্রীদের দ্রুত পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই র্যাব-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রোববার দুপুর ১টার দিক জেলা প্রশাসন পরিচালিত পাবনা কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) মো. আজমল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাবনা শহরের অনন্তবাজার এলাকার নবম শ্রেণির ছাত্রী নদী (১৪) পানি পানের জন্য বাড়ি থেকে সামান্য পানি ভর্তি একটি বোতল নিয়ে স্কুলে আসে। দুপুর ১টার দিকে স্কুলের শিক্ষক আনিসুর রহমান নবম শ্রেণির ছাত্রীদের অংকের ক্লাশ নিচ্ছিলেন। নদীর নিয়ে আসা পানির বোতল থেকে বুদবুদ শব্দ হলে শিক্ষক আনিসুর রহমান ও তার সহপাঠিরা নদীকে বোতলটি বের করতে বলে। নদী পানির বোতলটি বের করে বেঞ্চের ওপর রাখার পরপরই তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় পুরো স্কুলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বিকট শব্দে আতঙ্কে অনেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
ক্লাশ শিক্ষক আনিসুর রহমান সমকালকে জানান, অচেতন ও অসুস্থ অবস্থায় মারিয়া, রুপা, আন্না, জান্নাতুল ফেরদৌস, স্মরণীকা, বিভা, মৃদলা, ইশা, শান্তা, তরি, তুলি, মনিরা, সূচনা, সালমা, সেলিনা, প্রাপ্তি ও টুকটুকিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদেরকে অক্সিজেন এবং স্যালাইন দেওয়া হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোল্লা মাহমুদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট মুন্সী মনিরুজ্জামান, ওসি আহসানুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও ওসি আহসানুল হক পানির বোতল নিয়ে আসা ছাত্রী নদী, তার মা শবনম মুস্তারী এবং মামা মতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
পাবনা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. বিএম শাফিকুল হাসান জুয়েল সমকালকে বলেন, ‘ভয় ও আতঙ্কে এবং মনস্তাত্ত্বিক কারণে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এটা ঠিক হয়ে যাবে।’
পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ সমকালকে বলেন, ‘পানির বোতল থেকে বিস্ফোরণে হয়েছে। তবে এটি তদন্ত করা হচ্ছে। আলামত হিসেবে বিস্ফোরণে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া পানির বোতল বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে।’
