বান্দরবান: আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ও ভোটের সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পাঠাতে বান্দরবানে এবারও থাকবে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার। বিশেষ করে রুমা ও থানচি উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।
শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ জানান, বান্দরবানের সব আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, পাবর্ত্য এ জেলার দূর্গম কেন্দ্রগুলোতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণের জন্য সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত থাকবে। সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে পাঠাতে ভোট গ্রহনের আগেই ব্যবহার করা হবে।
বিশেষ করে জেলার আলীকদম ইউপির করুকপাতা পাড়া রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পোয়া মহুরী রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, থানছি উপজেলার রেমাক্রী ইউপির দলিয়ান পাড়া রেজি. বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রেমাক্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাখায়ইংপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাসিয়াপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় মধুবাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তীন্দ ইউপির তীন্দু গ্রুপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাই থোয়াই হ্লা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিং থোয়াই অং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জিন্নাপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রোয়াংছড়ি উপজেলার রোয়াংছড়ি ইউপির রনিনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউপির নুনতিয়া হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দানক্রি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকনিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চিংলক পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার কথা রয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রমতে, পার্বত্য এ জেলাটির ৭টি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও স্থানীয় গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এখন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রের তালিকা চূড়ন্ত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যে প্রত্যেকটি কার্যালয়ে চারজন পুলিশ ও ছয়জন আনসার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, একক ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে প্রত্যেকটি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হবে। আর বিরোধীদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের পরিধি ছোট হয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের ৭টি উপজেলা নিয়ে একটি মাত্র সংসদীয় আসন। এতে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে নেমেছেন চার প্রাথী। এরা হলেন- আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর (নৌকা প্রতীক) ও একই দলের বিদ্রোহীপ্রার্থী বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা (টেবিল ঘড়ি), আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ছোটন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা (হাতি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী লামা উপজেলার কামরুজ্জামান (টিয়া প্রতীক)।