কুমিল্লার চিরকুমার সমিতি থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। মঙ্গলবার পত্রিকায় ‘বিয়ে করছেন রেলমন্ত্রী’ সংবাদটি দেখে কুমিল্লার আলোচিত চিরকুমার সমিতি তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য, মুজিবুল হক ওই সমিতির প্রধান উপদেষ্টা। চিরকুমার সমিতির মহাসচিব কুমিল্লা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, মঙ্গলবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার (রেলমন্ত্রী) কাছে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি প্রাণখোলা হাসি দিয়ে সংগঠনের সবাইকে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেন। একবুক জ্বালা নিয়ে মহাসচিব তার সুখী দাম্পত্য জীবন কামনা করেন। মহাসচিব আরো জানান, সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল বাবলুর সঙ্গে আলোচনা করে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন- চিরকুমার সমিতিতে যেহেতু বিবাহিতদের স্থান নেই, তাই ডিসেম্বরে বিয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার পদসহ সমিতি থেকে রেলমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হবে। শিগগিরই নতুন প্রধান উপদেষ্টা মনোনীত করা হবে। তিনি আরো বলেন, কুমিল্লায় দুই যুগের বেশি সময় চিরকুমার সমিতির প্রধান উপদেষ্টার বিয়ের সংবাদে সদস্যদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। সংগঠনটির প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। সূত্রমতে, অবিবাহিত চল্লিশোর্ধ্বদের নিয়ে চিরকুমার সমিতি গঠন করা হয়। ১৯৯৭ সালে গঠিত এই সমিতির ৩৩ সদস্যের মধ্যে তিনজন বিয়ে করে ফেলায় তাদের বহিষ্কার করা হয়। সদস্যদের মধ্যে একজন তপন সেনগুপ্ত বিয়ে করায় ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর তাকে বহিষ্কারপত্র প্রদান করেন রেলমন্ত্রী। এখন কাকে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে বহিষ্কার করবেন, সেই চিন্তায় আছেন নেতারা। এদিকে, মঙ্গলবার রেলমন্ত্রীর বিয়ের সংবাদটি কুমিল্লায় ছিল টক অব দ্য সিটি। রেলমন্ত্রী কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আসনের সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। রেলমন্ত্রীর নিকটাত্মীয়ের সূত্র জানান, পাত্রীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনায়। তার পরিবার ঢাকায় বসবাস করছে। তিনি পেশায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান হতে পারে।