থানা আছে, কাজ আছে, আছে জনবল কিন্তু নেই তার নিজস্ব কার্যালয়। ৬ মাসের জন্য অস্থায়ী বেনাপোল পোর্ট থানার কার্যক্রম শুরু হলেও আজ একযুগ পরেও থানার নিজস্ব কোন ভবন গড়ে ওঠেনি।
বেনাপোলের গুরুত্ব অনুধাবন করে ২০০১ সালে ৫ এপ্রিল তৎকালীন স্বরাস্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বন্দরসহ বেনাপোল, বাহাদুরপুর ও পুটখালি ইউনিয়ন নিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার উদ্বোধন করেন। ৩টি ইউনিয়নের সাথে যোগ হয়েছে প্রথম শ্রেণীর বেনাপোল পৌরসভা। কিন্তু এ থানার নিজস্ব জমি ও ভবন না থাকায়, বেনাপোল বন্দরের অভ্যন্তরে একটি ভাঙা পরিত্যক্ত একতলা বাড়িতে শুরু হয় পোর্ট থানার কার্যক্রম। সে অবস্থায় এ থানার কার্যক্রম চলছে আজো। একটি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়নে ১ লাখ ৫০ হাজার লোকের বসবাস। থানার গুরুত্ব বাড়ায় এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ২ জন ইন্সপেক্টর, ৮ জন সাব-ইন্সপেক্টর, ৫ জন সহকারী সাব- ইন্সপেক্টর, ৯ জন মহিলাসহ ৩৯ জন পুরুষ সিপাহী। পরিত্যক্ত একতলা ভবনে টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ২য় তলায় পুলিশ ব্যারাক। রোদ, বৃষ্টি আর শীত এ ব্যারাকে থাকা মানুষগুলোর নিত্যসাথী। বৃষ্টির পানি পড়ে ভিজে নষ্ট হয় পুলিশের পোশাক-পরিচ্ছেদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বর্ষার সময় থানার ভিতরে হাটু জমে থাকে। ব্যারাকে জায়গা না থাকায় গাদাগাদি করে থাকতে হয় তাদেরকে। অনেককে আবার থাকতে হয় ভাড়া বাড়িতে। সেক্ষেত্রে মহিলা সিপাহীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। ফলে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সিপাহীরাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। তাছাড়া নেই পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা-আলাদা গারদখানা একই টয়লেট ব্যবহার করে পুলিশ ও আসামিরা। পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে পুলিশ, আসামি ও থানায় আসা সাধারন মানুষকে পড়তে হচ্ছে নানা বিড়ম্বনায়।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অপূর্ব হাসান মানমকণ্ঠকে জানান, স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ থানার কোন নিজস্ব কার্যালয় বা পুলিশ ব্যারাক না থাকায় আমি নিজেই বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকি। থানার অন্যানো অফিসাররাও বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকে। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে থানার উন্নয়ন। ছোট আঁচড়ার বাইপাস সড়কে এক একর জমির উপর থানার স্থান নির্বাচন করা হলেও বর্তমানে ঐ জমিতে স্থাপনা নির্মান করা হয়নি কোন সরকারি অর্থ বরাদ্দ না থাকার কারনে।
স্থানীয় লোকজনও থানা উন্নয়নে রয়েছে পিছিয়ে। বেনাপোল পোর্ট থানার নিজস্ব জমি ও ভবনসহ ব্যারাক নির্মাণের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
Prev Post
Next Post