জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে বেনাপোল স্থলবন্দর ও বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখা গেছে, জিকা ভাইরাস আক্রান্ত বিদেশি কোনো যাত্রী আসছেন কিনা সে ব্যাপারে নজর রাখছে।
জানা যায়, দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমাঞ্চল। ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন দেশের প্রায় তিন থেকে চারশ’ বিদেশি যাত্রী বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাদের কেউ যদি এ ভাইরাস আক্রান্ত হন, তার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ আশঙ্কা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করেছে বন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে বিভিন্ন দেশের ৮৬৫ জন নাগরিক বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে ভারতের ৮১৯ জন, অস্ট্রেলিয়ার চার, শ্রীলংকার এক, বেলারুসের দুই, যুক্তরাজ্য এক, মালয়েশিয়ার ১০, আমেরিকার আট, কানাডার নয়, ইতালির এক ও ইন্দোনেশিয়ার ১০ জন নাগরিক রয়েছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে কর্মরত উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার যতিস রায় জানান, এর আগে ইবোলা ও সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করেছে ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নতুন করে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে নির্দেশনা পাওয়ায় এ বিষয়ে নজরদারী বাড়িয়েছেন তারা। ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আসা বিভিন্ন দেশের যাত্রীদের তালিকা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য কর্মীদের জানিয়ে দিচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা তালিকা অনুযায়ী যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানিং মেশিনে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন।
Next Post