ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজ মো. ইয়াছিনের সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এসময় ১৫ জন আহত ও ৮/১০টি মোটর সাইকেল আটক করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন জানান, গত শুক্রবার রাত প্রায় পৌনে ৮টার দিকে সমর্থকদের নিয়ে কয়েকটি মোটর সাইকেলসহ শহরের ভাদুঘর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে যাবার পথে ফকিরাপুল এলাকায় থানার সন্নিকটে পুলিশ বিনা উস্কানিতে চড়াও হয়। পুলিশের লাঠিচার্জে সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের জেলা যুগ্ম-আহবায়ক শাহীন আহমেদ, মজলিশপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আমির হোসেন, শহরের ৫ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজ মিয়া, ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আলাল মিয়া, যুবলীগ কর্মী রাজিব, রুমান, নিশাত, সেলিমসহ ১৫ জন আহত হয়। এসময় পুলিশ আমার সাথেও অসদাচরণ করে। আমার সাথে থাকা ৮/১০টি মোটর সাইকেলও পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে মোটর সাইকেল মিছিল করায় তাদের বাধা দিয়ে নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেল আটক করা হয়েছে। জানা যায়, লাঠিচার্জ শুরু হলে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর দুটি শক্তিশালী হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
মাদরাসার ছাত্রদের বিক্ষোভ ১২শ’ জনকে আসামী
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের নাজিরাবাড়ি এলাকায় তাবলীগপন্থী মাদরাসা ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মাওলানা সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে বিজয়নগর থানায় ১৬৬ জনের নাম উল্লেখসহ ১২০০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যেই পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের কারণে এলাকা পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে। এদিকে তাবলীগপন্থীদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা থেকে কয়েক’শ মাদরাসা ছাত্র মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করে। মুফতি আবদুর রহিম কাসেমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কওমী ইসলামী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাফেজ খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ জুনায়েদ, সাবেক সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু বকর, মাওলানা এরশাদ উল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় প্রায় আধাঘন্টা ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিজয়নগর উপজেলার চর ইসলামপুর গ্রামের নাজিরাবাড়ি বাজার মসজিদে তাবলীগ করতে যায় জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবু বকর এর নেতৃত্বে ৩০ জন ছাত্র। সন্ধ্যার পর মসজিদে বয়ান চলাকালে একদল মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৮ জন গুরুতর ও ৩০ জন সামান্য আহত হয়।
Prev Post
আন্তর্জাতিক আদালত সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা নির্যাতন গুমসহ বিরোধীদের দমনের অভিযোগ পরীক্ষা করছে
Next Post