নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ মাছ ধরার অপরাধে ভোলা জেলায় সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৫৫ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রায় দুই মন লবন দেওয়া কাটা ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে সাতটি মাছ ধরার ট্রলার।
লালমোহন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য অফিসার আলী আহামদী ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, বস্তা ভর্তি ইলিশ মাছ নিয়ে যাওয়ার সময়ে সোমবার রাতে উপজেলার দেবীরচর বড়পুল এলাকা থেকে ১০ হালি মা ইলিশ মাছসহ গ্রামীণ ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ।
অটককৃতরা হলেন-পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম, একই জেলার দশমিনা উপজেলার খলিশাখালী এলাকার আসমান আলীর ছেলে হেমায়েত, বাউফল উপজেলার বটকাজল এলাকার আজিজ মৃধার ছেলে ফিরোজ ও একই উপজেলার মদনপুর এলাকার সেকান্তরের ছেলে মোতালেব।
তারা সবাই গ্রামীণ ব্যাংক ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ শক্তিতে চাকরী করছেন বলে জানায় পুলিশ। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে ১ বছর করে সাজা দেওয়া হলে গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।
অপরদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মল্লিক জানান, কোস্টগার্ড সদস্য ও ভ্রাম্যমান আদালত সোমবার রাতে মনপুরা উপজেলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫৫ জন জেলেকে আটক করেছে। আদালত তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দিয়েছে। এ সময় সাতটি মাছ ধরার ট্রলার আটক করেছে।
এ ছাড়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী চর থেকে প্রায় দুই মন লবন দেওয়া কাটা ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল মান্নান ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন। তাদের অভিযান ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য বিভাগ।