ভোলাঃ ভেজাল বিরোধী অভিযান তৎপরতা হঠাৎ ঝিমিয়ে পড়ায় ভোলার হোটেল-রেস্তরাগুলোতে ভেজাল মিশ্রিত খাদ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। এছাড়াও শহরের ফুটপাত দখল করে এক শ্রেণীর বিক্রেতারা অবাধে পসরা সাজিয়ে ভেজাল খাবার বিক্রি করছে। এসকল ভেজাল খাদ্য খেয়ে স্থানীয়রা ডায়রিয়া, আমশায়, গ্যাস্টিক, পেটের পিড়াসহ নানা বিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে এক দিকে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সাধারন মানুষ অন্যদিকে ভেজাল বিক্রেতাদের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের সাথে আলাপাকালে জানা গেছে, জেলা সদরের নামিদামী হোটেল রেস্তেরার পাশাপাশি নি¤œমানের খাবার দোকান রয়েছে এমন দোকানের সংখ্যা প্রায় দেড়শ। এছাড়াও বিস্কুট, বেকারী ও চানাচুর ফ্যাক্টরীসহ ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে অর্ধশত। এ সকল নি¤œমানের হোটেলগুলোতে পচা ও বাশী খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। পুরনো তৈল দিয়ে তৈরী করা হচ্ছে পরোটা, ভাজি, সিঙ্গারা, পেয়াজু, সমোচা, ছোলা বুট, বেগুনী, মৌমলাই, পুড়িসহ নানা ধরনের মুখরোচক খাবার। শহরের কনফেকশনারীর বেকারী গুলোতে মেয়াদ উর্ত্তীন খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ছোট বড় মুদি দোকানগুলোতে ভেজাল তৈল, হলুদ, মরিচের গুড়া সহ বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধ্যানে দেখে গেছে, সদর উপজেলা সহ প্রায় ২০টি হাট বাজারে প্রায় ৫০টি স্পটে নি¤œমানের খাবার হোটেল রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ইলিশা বাস স্ট্যান্ড, কালীনাথ রায়ের বাজার, নতুন বাজার সদর রোড, উকিলপাড়া, পরানগঞ্জ, মোল্লা ব্রীজ, কালী খোলা, চৌমুহীন, খেয়াঘাট, ভেদুরিয়া, বাংকের হাট, ভেলুমিয়া, বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ড, রুপসী সিনেমা হল সংলগ্ন, গাজীপুর রোড, যুঘির ঘোল, ইলিশা, জংশন, তুলাতুলী, নাসির মাঝি, কাঠির মাথা, রাস্তার মাথা, চডার মাথা, মাদ্রাসার হাট এলাকায় নি¤œমানের খাবারের হোটেলগুলোতে দেদারছে ভেজাল খাদ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ওই সকল হোটেল রেস্তরাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার সরবরাহ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে জনমনে।
এ ব্যাপারে ভোলা সিভিল সার্জন জানান, ভেজাল খাবার খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, আমশায়, গ্যাস্টিকসহ নানা ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও বিশুদ্ধ পানির অভাবেও এ ধরনের রোগ হতে পারে। অপরদিকে, ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার জন্য ভূক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
এইচ এন