মহাসেনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূল

0

Ahsanবরগুনা: ২০১৩ সালের ১৬ মে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত হানে বরগুনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। ভারি বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় উপকূল। শুধু বরগুনায় তখন নারী ও শিশুসহ সাত জন মারা গেলেও আহত হন প্রায় দুই হাজার মানুষ। এছাড়া প্রায় ৭০ হাজার ঘড়-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়।

তবে আবওহাওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, মহাসেন আঘাত হানবে দুপুর ২টার পরে। এ কারণে ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলের অনেকেই ছিলেন অপ্রস্তুত। দিনের বেলায় ঝড় হওয়ায় প্রাণহানি কম হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ফসল ও ঘরবাড়ির।

উপকূলবাসীর দাবি, ভবিষ্যতে ঝড়ের সময় সঠিক সতর্কবার্তা পেলে ক্ষতির পরিমান অনেকাংশে কমবে।

বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা গ্রামের ফজিলা বেগম বাংলামেইলকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত হানার কথা ছিল বিকেলে, কিন্তু হয় সকালে। যদি আগে থেকে তারা জানতেন তাহলে তাদের এতো কষ্ট করতে হতো না। ঝড়ের সময় সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে পারেননি তিনি।

একই এলাকার হাফিজ মোল্লা বাংলামেইলকে জানান, বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই সবাই তাড়াহুড়ো করে আশ্রায় কেন্দ্রে যেতে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। ওই সময় ছেলেকে কোলে নিয়ে দৌড়ে যেতে গিয়ে তার ডান পা ভেঙে যায়। পরে অনেক টাকার ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছেন তিনি।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম বাংলামেইলকে জানান, বিগত দিনের চেয়ে পরবর্তীতে মোবাইল টেকনোলজিসহ বিভিন্ন উপায়ে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে পারবেন তারা। বর্তমানে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো বন্যার সতর্কবার্তা সবার কাছে পৌঁছানো যাবে। পাশাপাশি তাদের যেসব স্বেচ্ছাসেবক আছেন তাদের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্যার আগাম বার্তা দেয়া যাবে। যাতে সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More