নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেছেন, আসামি মাহফুজ একাই বাবুরাইল এলাকায় পাঁচজনের মাথায় পুঁতা দিয়ে আঘাত করে একে একে হত্যা করে। পরে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। লামিয়ার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরেই মাহফুজ সবাইকে হত্যা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। দুজনকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, আসামি মাহফুজ কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তার পুরো বর্ণনা দিয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে প্রথমে মোশারফকে, পরে পর্যায়ক্রমে তাছলিমা ও তার জা লামিয়া, তাসলিমার মেয়ে সুমাইয়া এবং সব শেষে শিশু শান্তকে হত্যা করে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
গত ১৮ জানুয়ারি মাহফুজকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। রিমান্ড শুরুর চারদিনের মাথায় মাহফুজ আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সুইট বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদুজ্জামান শরিফের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মাহফুজ। এর আগে কঠোর গোপনীয়তা ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাহফুজকে আদালতে হাজির করা হয়ে।
গত ১৬ জানুয়ারি রাতে নগরীর ২নং বাবুরাইলের প্রবাসী ইসমাইলের পাঁচতলা বাড়ির একতলার পূর্ব দিকের ফ্ল্যাট থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- তাছলিমা, তাছলিমার ছেলে শান্ত, মেয়ে সুমাইয়া, তাছলিমার ভাই মোশারফ, তাছলিমার জা লামিয়া। তাদের মাথায় ভোতা অস্ত্রের আঘাত ও গলায় দাগ পাওয়া যায়।