চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম চৌধুরীর গাড়ি বহরে হামলা করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। শনিবার দুপুরে মিরসরাই পৌরসদরের সোনালী ব্যাংকের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গাড়িতে হামলা হলেও অক্ষত ছিলেন আসলাম চৌধুরীসহ গাড়ি বহরে থাকা নেতারা।
বিএনপি পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম পারভেজ বলেন, পৌরসভা নির্বাচনোত্তর আলোচনা সভা শেষে চট্টগ্রাম শহরে ফিরে যাচ্ছিল আসলাম চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা সোনালী ব্যাংক ভবনের সামনের সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে হামলা করে পৌরসভা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে তিনি অক্ষত অবস্থায় চট্টগ্রাম শহরে চলে যান।
এর পূর্বে মিরসরাই পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় ও আহবায়ক ফকির আহম্মদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক আসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুরুল আমিন, সীতাকুন্ড উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম, সাবেক আহবায়ক ইউনূস চৌধুরী, বিএনপির নেতা গোলাম কিবরিয়া মনজু, মিরসরাই পৌরসভা যুবদল আহবায়ক কামরুল ইসলাম লিটন, জসিম উদ্দিন, আবু তাহের মিয়া, মো. খায়ের উল্ল্যা, যুবদল নেতা ফোরকান উদ্দিন রিজভী, জাফর ইকবাল, আকবর বাদশা, হুমায়ূন আহম্মদ সুমন, ছাত্রদল নেতা ফারহাদ হোসেন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি আল ফায়হাত সংগ্রাম বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীণ কারণে হামলা হয়েছে। হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ জড়িত
নয়। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, আওয়ামীলীগ-ছাত্রলীগ হামলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। বিএনপির মধ্যে একাধিক গ্রুপ থাকায় আসলাম চৌধুরীর গাড়ি বহরে অভ্যন্তরীণ কারনে হামলা হতে পারে।
এ ব্যাপারে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ এমকে ভূঁইয়া বলেন, কোন ধরনের হামলার ঘটনা আমি অবগত নই। তবে কেউ অভিযোগ দিলে তা গ্রহণ করা হবে।
Next Post