বগুড়ার শাজাহানপুরে অপহরণের পর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রাম থেকে ঢাকন্তা গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে মিন্টু মিয়া ওরফে ঢাকাইয়া মিন্টু (৩৬) ও বেজোড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইজিবাইক চালক রাকিবকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী এলাকার নার্সিং কলেজের একজন ছাত্রী (১৬) শুক্রবার বগুড়ার কলোনী এলাকায় এক বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বান্ধবীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হলে তিনি ওইদিন সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার জন্য বনানী স্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে মেয়েটিকে একা ঘোরাঘুরি করতে দেখে সিএনজি অটোরিকশার চেইন মাস্টারসহ ৪-৫ জন তার সঙ্গে কথা বলে।
এরপর ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিশ্চিন্তপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে মৃত তোজাম্মেল হকের মাদকাসক্ত ছেলে বাদলের (২৮) ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাকে মিন্টু ও রাকিবসহ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত ৩টার দিকে ভিকটিম বাড়ি থেকে কৌশলে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে ওই ছাত্রী তিন ধর্ষক ও তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ তার সহায়তায় শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষণে সরাসরি জড়িত তিনজনের মধ্যে মিন্টু ও রাকিবকে গ্রেফতার করে। ওসি আরও জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা রেকর্ড ও অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।