লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে সিএনজি ও পিকআপ ভ্যানে পেট্রলবোমা বোমা হামলায় ২জনের মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতারা জড়িত দাবি করে তাদের নাম প্রকাশ করল জামায়াত। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, গত রোববার রাতে যাত্রীবাহী সিএনজি ও পিকআপ ভ্যানে পেট্রলবোমা হামলার সাথে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের গ্রেফতার করলেও পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয় সদর থানা পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মহসিন কবির মুরাদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে, পৗরসভার ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হোসেনের নেতৃতে গত ১ জানুয়ারী রাতে লক্ষ্মীপুর মহিলা কলেজের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজিতে পেট্রলবোমা হামলা চালানো হয়। এ হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় দর্জি দোকান কর্মচারী ও যুবলীগ কর্মী পিচ্ছি রুবেল, শামীম, মাসুদ ও জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মুরাদ হোসেন জয়সহ ১০ থেকে ১২জন। এই ঘটনা এলাকাবাসী প্রত্যক্ষ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
অপরদিকে গত ২জানুয়ারী রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের সামনে পিকআপ ভ্যানে পেট্রলবোমা হামলা করে ছাত্রলীগ নেতারা। এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার আগে আদিলপুর গ্রামের যুবলীগ কর্মী শিপন, জকসিন ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান কয়েকটি মটর সাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে আসে। পিকআপ ভ্যানে বোমা হামলা করে দ্রুত সেখান থেকে তারা চলে যায় বলে দাবী করে জামায়াত।
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, পুলিশ এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মারুপ, মমিন ও দূর্জকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না করেই ছেড়ে দেয় সদর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ইকবাল হোসেন শীর্ষ নিউজের এ প্রতিনিধিকে জানান, পিকআপ ভ্যানে হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউকে আটক করা হয়নি। তিন ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের সময় স্থানীয় জনতা ও গণমাধ্যম কর্মী দেখেছে বলে উল্লেখ করলে পুলিশের এই কর্মকর্তা আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, ১ জানুয়ারী রাতে জেলা শহরের নতুন মহিলা কলেজের সামনের সড়কে যাত্রীবাহী সিএনজি ও ২ জানুয়ারী জেলা কারাগারের সামনের রাস্তায় মালবাহী পিকআপ ভ্যানে পেট্রলবোমা হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু ও ৬ জন আহত হয়েছে।
জামায়াত দাবী করে, এ ঘটনায় প্রকৃত আসামীদের আড়াল করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াতের জেলা আমীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়াসহ ২৫ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছে জামায়াত।