ঝিনাইদহের শৈলকুপার কৃষ্ণনগর ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকা মুক্তি খাতুনের বেত্রাঘাতে ক্ষোভে-দুঃখে লাভলি ইয়াসমিন (১২) নামের এক শিক্ষার্থী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। সে কৃষ্ণনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
রোববার দুুপুরে স্কুলের টিফিনের সময় বাড়িতে গিয়ে লাভলি আত্মহত্যার চেষ্ট চালায়। সে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লাভলির মা লাইলি খাতুন জানান, লাভলি ইয়াসমিন কৃষ্ণনগর ব্র্যাক স্কুলে লেখাপড়া করতো। শারীরিক অসুস্থতার জন্য সে তিন দিন স্কুলে উপস্থিত হতে পারেনি। তিন দিন অনুপস্থিত হওয়ায় ফাইনের ৬০ টাকা নিয়ে স্কুলে না যাওয়ার কারণে শিক্ষক লাভলী তাকে বেদম প্রহার করে। ঐদিনই সে দুপুরে বাড়িতে টিফিন খেতে এসে খাবারের পরিবর্তে বিষ পান করে স্কুলে ফিরে যায়। স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ শিশু লাভলী জানায়, অনুপস্থিত থাকার তিন দিন পর স্কুলে গেলে আপা মুক্তি খাতুন ফাইনের ৬০ টাকা দাবি করে। সে দিতে না পারায় বেত দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে করে তার মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। বাড়ি ফিরে টিফিনের খাবার না খেয়ে ঘরে থাকা কীটনাশক পান করে আবার স্কুলে ফিরে যায়।
ব্র্যাকের শাখা ব্যবস্থাপক কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, তিনি ঘটনাটি জানেন না। তবে তিনি বলেন স্কুলে অনুপস্থিতির কারণে কোন ফাইন নেয়ার বিধান নেই এবং স্কুলে বেত নিয়ে ক্লাসে ঢোকা সম্পূর্ণ নিষেধ। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কিন্ত সে আসে নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Prev Post