শীতে কুমিল্লায় ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুই বেশি। আর হঠাৎ করে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন জেলার হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক ও সেবিকারা। অবশ্য সিভিল সার্জন বলছেন, একটু সচেতন হলে মৌসুমি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে শিশুদের মায়েদের একটু বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ তার।
শীতের কারণে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে কুমিল্লার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব শিশুর অধিকাংশই ভুগছে সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায়। বাড়তি রোগীর চাপে হাসপাতালগুলোতে শিশু ওয়ার্ডের বেড ভরে যাওয়ায় অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। সংকট দেখা দিয়েছে ওষুধেরও।
এদিকে, অতিরিক্ত রোগীর চাপে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরতদের। শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষায় মায়েদের বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান।
কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে গত ১ সপ্তাহে চিকিৎসা নিতে আসে সাড়ে ৫শ’ শিশু। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩২ জন। আর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে আড়ইশোর বেশি শিশু।