দুর্নীতি দমন কমিশনের (গবেষণা, পরীক্ষণ, প্রতিরোধ ও গণসচেতনতা) মহাপরিচালক ড. মো. শামসুল আরেফীন বলেছেন, সকলের সমন্বয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতির বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে হবে।
এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকটি ইউনিয়নের আর্থিক বাজেটে দুর্নীতি প্রতিরোধ সংক্রান্ত একটি খাত প্রণয়ন করতে হবে। তিনি সোমবার সকাল ১১টায় মাদারীপুর লিগাল এইড এসোসিয়েশনের ট্রেনিং সেন্টারে “দুর্নীতি প্রতিরোধে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা শীর্ষক” এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ্যাডভোকেসি সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিআইজেড এর সিনিয়র এ্যাডভাইজার টিম ফানমুলার, মাদারীপুর লিগাল এইড এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফজলুল হক, প্রধান সমন্বয়কারী খান মো. শহীদ, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি মাদারীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান খান, জেআইজেড এর কর্মকর্তা মো. আলী রেজা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবু দাউদ শামীম, প্রোগ্রাম অর্গানাইজার নাজমুন নাহার তাহমিনা, রেহেনা পারভীন, মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্দ্দুুস মল্লিক, কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রায়হান কবির প্রমুখ।
সভায় লিগাল এইড এসোসিয়েসন কর্ম এলাকা মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ৩০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিপিসি, সিপিএফ, শিক্ষক ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দুদক মহাপরিচালক আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের বিকাশ ও দারিদ্র বিমোচনের প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। দুর্নীতির হিংস্র থাবা যেমন রাষ্ট্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে দেয় না তেমনি নাগরিকের অধিকারও সমুন্নত থাকে না। শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তার জন্য দরকার জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততা ও ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে সকলকে সাথে নিয়ে সমাজ থেকে দুর্নীতি কমানো সম্ভব।